এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আর্থিক মন্দা কাটিয়ে ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একাধিক বড় সিদ্ধান্তের পথে মোদি সরকার

আর্থিক মন্দা কাটিয়ে ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একাধিক বড় সিদ্ধান্তের পথে মোদি সরকার

2014 সালে ক্ষমতায় আসার পরই ভারতকে অর্থনৈতিক দিক থেকে নতুন দুয়ার খুলে দিতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। আর এবার দেশের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠে জিডিপি বৃদ্ধির হারকে সঠিক দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্রের শাসকবর্গ। যার জন্য ইতিমধ্যেই বেশকিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নীকরণের প্রস্তাবে চলতি মাসের মধ্যেই সীলমোহর দিতে চলেছে কেন্দ্র।

জানা গেছে, যে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ করা হবে, তার মধ্যে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের সরকারের হাতে থাকা সম্পূর্ণ 53 শতাংশ, শিপিং কর্পোরেশনের 63 শতাংশ, কনকর সংস্থার 30 শতাংশ, নর্থ ইস্টার্ন ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের 100 শতাংশ এবং টিএইচডিসির 75 শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সরকারি সংস্থা বিক্রির ব্যাপারে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতির কিছুটা বদল আনা হয়েছিল। পূর্বে এই সরকারি সংস্থার বিলগ্নীকরণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নীতি আয়োগ নিলেও এখন এই ব্যাপারে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেসমেন্ট এন্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রধানের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মূলত নীতি আয়োগ এবং ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে যৌথভাবে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে, কোন কোন সংস্থাকে সরকারের পক্ষ থেকে বিক্রয় করা হবে। অনেকে বলছেন, কেন্দ্রের মোদি সরকার তার বিলগ্নীকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিলেও তা কোনোমতেই পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে না। শেষ বাজেটে এই বিলগ্নীকরণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করার ব্যাপারে 90 হাজার কোটি টাকা স্থির করেছেন অর্থমন্ত্রী।

অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকেও গত আর্থিক বছরে ক্ষতিপূরণের জন্য 1 লক্ষ 5 হাজার কোটি টাকা টার্গেট করা হয়েছে। আর তাই পূর্বের ঘোষণা মত বিলগ্নীকরণের জন্য 23 টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে খবর। যেখানে এয়ার ইন্ডিয়া, পবনহংসের মত সংস্থা যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই রয়েছে ব্রিজ অ্যান্ড রুফের মত সংস্থাও।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, ভোটের লড়াইয়ে বিরোধীদের কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি কুপোকাত করলেও অর্থনৈতিক দিক থেকে যে তারা অনেকটাই বিপাকে রয়েছেন, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। আর তাইতো মাঝেমধ্যেই ব্যাপারে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে।

কিন্তু এবার বিরোধীরা যাতে সেই সমস্ত অভিযোগ না তুলতে পারে, তার জন্য আর্থিক মন্দাকে কাটিয়ে উঠে ভারতবর্ষের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রের মোদি সরকার বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নীকরণের প্রস্তাবে চূড়ান্ত সীলমোহর দিতে চাইলেও তাতে আদৌ কতটা সুফল মিলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!