এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিরোধী জোটের সাফল্য প্রভাব ফেলছে, ঘর বাঁচাতে মাঠে নামলো মোদী

বিরোধী জোটের সাফল্য প্রভাব ফেলছে, ঘর বাঁচাতে মাঠে নামলো মোদী


একের পর নির্বাচন তথা উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয় কপালে ভাঁজ ফেলছে মোদীজি-অমিত শাহদের। তার ফলে দলের স্বার্থে পুরানো নীতির বদল ঘটতেও পিছপা হচ্ছে না কেন্দ্রীয় পদ্মশিবির। জানা যাচ্ছে, আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লালকৃষ্ণ আডবানীকে পাশে চাইছেন মোদীজি। শুধু তাই নয়, বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতা মুরলীমনোহর জোশী কিংবা যশবন্ত সিনহাকেও দলে টানতে মরিয়া বিজেপি শিবির। তবে যশবন্ত সিনহা একসময় এতো বিজেপি বিরোধীতা করেছেন তাকে দলে টানতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলেই অনুমান লাগাচ্ছ কেন্দ্রয়ী বরিষ্ঠ বিজেপিমহল। অন্যদিকে, নব্বই এর দোড়গোড়ায় দাঁড়ানো আডবানীকে দলে টানতে উদোম প্রয়াস করে যাচ্ছেন মোদীজি নিজেই। চলভাষে ইদানিং কথা হচ্ছে এই প্রবীণ নেতার সঙ্গে। এছাড়া এদিন মোদী-অমিশ শাহ দফায় দফায় দেখা করে গেছেন আডবানী সঙ্গে। মোদীজি দেশবাসীর কাছে এই বার্তাই দিতে চাইছেন যে, গুরুর প্রতি তিনি এখনো কৃতজ্ঞই আছেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

লোকসভা ভোটের আগে বয়স্ক নেতাদের নিয়ে বিজেপি টানাটানি করছে ঠিকই কিন্তু ২০১৪ এর লোকসভা ভোটের পর শীর্ষ বিজেপিমহল ঘোষণা করেছিলো যে ৭৫ এর বেশি বয়স হয়ে গেলে সক্রিয় রাজনীতিতে কোনো জায়গা মিলবে না কোনো নেতার। সেই কথা মতো আডবানী,যশবন্ত,যোশী প্রত্যেকেরই নেতাদের মার্গদর্শকমন্ডলী সদস্যপদ দেওয়া হয়। একইকারণের জন্য সরতে হয়েছিল নাজমা হেপতুল্লাকে। বিহারের সি পি ঠাকুরও রাজ্যসভার মনোনয়ন থেকে বাতিল হন। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি বিজেপির তাতে কোনো পুরানো সমীকরণ বদলাতে বাধ্য হচ্ছে তাঁরাই। কোনো ছক্ই কাজে আসছে না। তাই বিরোধী দমনে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি। এবার আর বয়স দেখে সক্রিয় রাজনীতিতে থাকার যোগ্যতা বিচার হবে না। প্রাধান্য দেওয়া  হবে আসন জয়ের দক্ষতাকেই। সেদিক দিয়ে বিচার করলে আডবানী এখনো শারীরিক ভাবে সুস্থ ৯০ বছর বয়স হলেও। এছাড়া তিনি এখনে এনডিএ র চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। তবে দিল্লিতে তাঁর নিজের বাড়ি না থাকায় ৩০ নম্বর পৃথ্বীরাজ রোডের বাড়িটি আডবানীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।

সম্প্রতি হওয়া গুজরাতের বিধানসভা ভোটে অবশ্য আডবানীর পরিবর্তে তাঁর মেয়ে প্রতিভা বা ছেলে জয়ন্তকে গাঁধীনগরের প্রার্থী করার প্রস্তাব ছিলো বিজেপি তরফের। সেক্ষেত্রে আগামী লোকসভা নির্বাচনে আডবানী প্রার্থী হবেন কিনা সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো তিনি নেননি বলেই আপাতত জানা যাচ্ছে। একদিকে বিরোধী জোটের ছোবল, অন্যদিকে তরুন তুর্কি নেতাদের উত্থান, বিভিন্ন নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে উত্তাপের পারদ দিনদিন চড়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপিশিবিরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!