বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে রাজ্য March 20, 2018 শুক্রবার দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত হন শিলিগুড়ির ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের সক্রিয় বিজেপি কর্মী প্রণব সরকার। অভিযোগ তৃণমূল হামলা করেছিল। অন্যদিকে এদিন তাঁকে বাড়িতে দেখতে গিয়েছিল বিজেপির শিলিগুড়ি জেলা সভাপতি প্রবীণ আগরওয়ালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। আর সেখান থেকে ফেরার পথেই ফের একদল দুষ্কৃতী বাঁশ, কাঠের বাটাম দিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায়। বাইক ভাঙচুর করা হয়। জেলা সভাপতি এবং যুবমোর্চার নেতা সহ বিজেপির সাতজন কর্মী আহত হন। যারা হামলা চালিয়েছে তারা সবাই তৃণমূল কর্মী এমনই অভিযোগ করেছে বিজেপির কর্মীরা। আর এদিন এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির দলীয় নেতা ও কর্মীরা দফায় দফায় ভক্তিনগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। এরপর তৃণমূল কংগ্রেস ও পালটা অভিযোগ করে ভক্তিনগর থানায়। পুলিশ দুই বিজেপি কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও থানায় আসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থানে আসেন এসিপি(ইস্ট) অচিন্ত্য গুপ্ত। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিজেপির শিলিগুড়ি জেলা সভাপতি বললেন, “আজ সকালে ওই এলাকায় হাজির হতেই তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী হামলা চালায়। বাঁশ, বাটাম নিয়ে চলে হামলা। সাতজনকে মারধর করা হয়।” এদিকে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সম্পাদক (৪৪ নম্বর ওয়ার্ড পর্যবেক্ষক) মানিক অরোরা নিজের প্রতিক্রিয়ায় বললেন, “ওই এলাকায় বিজেপির অস্তিত্বই নেই। ওয়ার্ডটি বামেদের দখলে। ফলে, রাম বাম মিলে ওই ওয়ার্ডকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। আজ অস্ত্র নিয়ে ওই এলাকায় যান বিজেপি নেতারা। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্থানীয়রা। দু’-তিনদিন ধরে এলাকায় অশান্তি ছড়াতে তৎপর বিজেপি। রাতের অন্ধকারে এসব করছে। গতকাল ওয়ার্ডের দুই যুবনেতার উপর হামলা চালানো হয়। তাঁদের চিকিৎসা করাতে হয়।” আপনার মতামত জানান -