যাবতীয় তিক্ততা ভুলে সৌজন্য রক্ষায় মোদীর শপথগ্রহণে মমতা, পিছলেন ইফতার পার্টি জাতীয় রাজ্য May 29, 2019 ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে দেশের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। সেবারেও প্রচারে মোদী-মমতার জোর চাপানউতোর দেখা গিয়েছিল। আমন্ত্রণ জানানো স্বত্তেও মোদীর শপথে দেখা যায়নি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। এবারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছিল মোদী কে কেন্দ্র থেকে হটানো। আর তাই তাঁর প্রচারে বার বার মোদী তথা দেশের প্রধানমন্ত্রীরকে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা গেছে, প্রচার মঞ্চ থেকে একে অপরকে বিঁধেছেন। বিরোধীদের আক্রমণকে ফুৎকারে উড়িয়ে ৩০০-র বেশি আসন নিয়ে একা ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। আর আগামী বৃহস্পতিবার ৩০ মে সন্ধ্যায় ফের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথশপথ নিতে চলেছেন মোদী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর সেখানে ফের আমন্ত্রিত হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ,তবে এবারে সবাইকে চমকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, মোদীর দ্বিতীয়বারে শপথে যাচ্ছেন তিনি। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই বৃস্পতিবারের সব কর্মসূচি বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ৩০ মে সন্ধ্যায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান মোদীর। যেখানে দেশ-বিদেশের সমস্ত তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। আর সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, ”আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মাঝে আর এক দিন রয়েছে হাতে। তবে প্রদানমন্ত্রীর শপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা যেহেতু সাংবিধানিক সৌজন্য তাই এই সিদ্ধান্ত।” আর তাই জানা যাচ্ছে যে তিনি বুধবারই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন। আর এজন্য লোকসভা নির্বাচনে কেন দলের ফল খারাপ হল তা নিয়ে ডাকা বিশ্লেষণ মূলক বৈঠকও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাথেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার ইফতার পার্টি। কেননা বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যে সেকথা ঘোষণা করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমি মুসলিম তোষণ করি। তাই হাজার বার ইফতার পার্টিতে যাব। যে গরু দুধ দেয়-তার লাথি খাওয়া উচিত।’ প্রসঙ্গত, ফণি নিয়ে বার বার প্রধানমন্ত্রীর ফোন তোলেন নি। বার বার দাবি করেছেন তাঁর প্রধান শত্রু হলো মোদী। সেই মোদির শপথে যাওয়া ও তার জন্য ইফতার পার্টি ও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক পিছিয়েদেওয়া নিয়ে জল্পনা বেড়েছে রাজনৈতিকমহলের। আপনার মতামত জানান -