মোদী সরকারের নীতির প্রতিবাদ করে পদত্যাগ করলেন হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! তোলপাড় গোটা দেশ! জাতীয় September 20, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দ্বিতীয় দফায় দেশের সিংহাসনে বসামাত্রই কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বেসরকারিকরণ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে দেশজুড়ে তুমুল হইচই। এবার দেশের কৃষি ক্ষেত্র বদলানোর তোড়জোড় শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, এবারের বাদল অধিবেশনে সংসদে কৃষি ও কৃষিক্ষেত্র সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় বিল পাস হয়ে যাবে এবং হলও তাই। অন্যদিকে মোদি সরকারের কৃষি সংক্রান্ত বিলের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছে শরিক দলগুলি। ইতিমধ্যে এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন শিরোমণি আকালি দলের কেন্দ্রের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রী হরসিমরত কাউর বাদল। পদত্যাগ করার পর শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবীর সিংহ বাদলের স্ত্রী হরসিমরত কাউর বাদল টুইটারে জানিয়েছেন, কৃষক বিরোধী অর্ডিন্যান্স এবং আইনের প্রতিবাদে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। কৃষিপ্রধান পাঞ্জাবের রাজনীতির কথা মাথায় রেখেই মোদি সরকারের বিতর্কিত কৃষি বিলকে সমর্থন করতে নারাজ শিরোমণি অকালি দল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শিরোমনি অকালি দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক আছে। কারণ হিসাবে জানা গেছে, গত জুন মাসে মন্ত্রিসভার সম্মতি আদায় চলছিল যখন এই বিল নিয়ে, তখন কিন্তু শিরোমনি অকালি দলের পক্ষ থেকে কোনরকম বিরোধিতা করা হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিরোমণি অকালি দলের মন্ত্রী হঠাৎ পদত্যাগ নিশ্চিত ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটা ধাক্কা দিল। অন্যদিকে সংসদে এদিন কৃষি ও কৃষি সংক্রান্ত বিল হেতু প্রথম থেকেই সরব ছিল বিরোধীরা। এদিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিলের কপি পোড়ানো হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে সংসদে বিল পাশের সময় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস। তাঁদের সাথে ডিএমকেও যোগ দেয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে তৃণমূল থেকেও সংসদে তীব্র বিরোধিতা করা হয় কৃষি বিলের। লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিল দুটিকে অসংসদীয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি সরকারের বেসরকারিকরণ নীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করে জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য সমস্ত কিছু বেচে দেওয়া। তৃণমূলের পক্ষ থেকে মহুয়া মৈত্রও এদিন সংসদে সরব হন। তাঁর মতে, এই বিল পাস করিয়ে রাজ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। যথারীতি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বিরোধীদের এত সমালোচনা সত্ত্বেও এই বিল পাস হওয়া কিন্তু আটকায়নি। দীর্ঘ আলোচনার পরেও শুধুমাত্র ধ্বনিভোটের জোরে পাস হয়ে গেল ‘দ্য ফামার্স প্রডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স প্রোমোশন অ্যান্ড ফেসিলিটেশন’ এবং ‘দ্য ফামার্স এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যাসিওরেন্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস বিল 2020’। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছেন, এই বিলের কারণে দেশের কোন কৃষক বিপদে পড়বে না। বরং তাদের সুরাহাই হবে। জানা যাচ্ছে, এই বিলের কারণে ইতিমধ্যেই দেশের কৃষকদের একাংশ তাঁদের তীব্র ক্ষোভ সহযোগে বিরোধিতা জানিয়েছে। এমনকি তাঁরা এও বলছেন, ঘুরপথে কৃষিকে বেসরকারিকরণের দিকে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের জনগোষ্ঠীর বৃহৎ অংশ হচ্ছে কৃষিজীবী। সে জায়গায় কৃষকরা যদি কোন ক্ষেত্রে আপত্তি করে, তার ফল যে খুব একটা ভালো হবে না সেকথা সহজেই বলা যায়। তবে কৃষকদের হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে যে এবার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি জোরদার লড়াই শুরু করবে, সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন সবাই। আপনার মতামত জানান -