এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ‘বিদ্রোহী’ মোহনের পাশে ২ হেভিওয়েট দলীয় বিধায়ক, হয়েছে বৈঠক, ত্রিফলা আক্রমনে তৃণমূলে ভূমিকম্প?

‘বিদ্রোহী’ মোহনের পাশে ২ হেভিওয়েট দলীয় বিধায়ক, হয়েছে বৈঠক, ত্রিফলা আক্রমনে তৃণমূলে ভূমিকম্প?


প্রশাসক পদে নাম না থাকার পরই রীতিমত সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাকে। আর এবার রাখঢাক না করে প্রকাশ্যে দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে শুরু করলেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে এবার নতুন টিম গঠন করতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। যা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে কিষাণ কুমার কল্যাণী নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু সঙ্গে তার বিবাদ তৈরি হতে শুরু করে। সম্প্রতি সেই পৌরসভার মেয়াদ শেষের পর অন্যান্য পৌরসভার মত এখানে বিদায়ী চেয়ারম্যানকেই প্রশাসক করা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তা না করে সেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পালকে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

এমনকি বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যানকে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য পদেও রাখা হয়নি। যার পর থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন সেই মোহনবাবু। এক্ষেত্রে জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন তিনি। সম্প্রতি সেই মোহন বসুর বাড়িতে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতির পর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হতে শুরু করে। তবে এবার সরাসরি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ছেন তৃণমূলের মোহন বসু বলে খবর ছড়িয়ে পড়ল।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মোহন বসুর বাড়িতে জেলার বিভিন্ন নেতৃত্ব, ব্লক নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত হন। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষান কল্যাণীর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় সহ আরও অনেককেই এদিন মোহন বসুর সঙ্গে দেখা করতে দেখা যায়। আর এরপরই রীতিমতো জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, তাহলে কি এবার প্রকাশ্যে জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে রীতিমতো টিম গঠন করে ময়দানে নামতে চলেছেন মোহন বসু?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু ওই বিধায়ক নয়, এদিন আরেক তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীও তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি করলেন সেই মোহন বসু। যার ফলে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে মোহনবাবুর টিম দানা বাঁধতে শুরু করেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মোহন বসু বলেন, “আমি এদিন ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। বাড়িতে অনেকে দেখা করতে এসেছিলেন। বিজেপি তাদের কাজ করতেই পারে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার সঙ্গে অসংখ্য জেলার নেতা-নেত্রী, ব্লক সভাপতি, বিধায়করা রয়েছেন। আরও কয়েকজন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। দুই – একজন রাজ্য নেতার সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে।”

পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে তৃণমূলের অন্দরে মোহন বসুর পদক্ষেপকে নিয়ে তীব্র জল্পনা তৈরি হচ্ছে। কেননা জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় জানিয়েছেন, আমরা সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরেই নজর রাখছি।ইতিমধ্যে নাকি বিজেপি নেতারাও মোহনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে খবর। জল্পনা এই ছড়িয়েছে যে যদি শীর্ষ নেতৃর্ত্ব কিষাণ কুমার কল্যাণীকে সরানো না হয় তবে কি একসঙ্গে বাকিদের নিয়ে দল ছাড়বেন তৃণমূল নেতা ? আর যদি এতজন একসঙ্গে তৃণমূল ছাড়েন তবে উত্তরবঙ্গ নিয়ে বেজায় বিপাকে পড়বেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

কেননা একেই লোকসভা ভোটে বিজেপি ভালো ফল করেছে ফলে এখানে একেই বেশি করে নজর দেওয়ার প্রয়োজন। একসঙ্গে কাজ করে সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরানো প্রয়োজন কিন্তু তা হয়নি বরং প্রকাশ্যে এসেছে গোষ্ঠী কোন্দল। নেতৃত্বের নির্দেশকে অমান্য করে চলছে কোন্দল। আর যদি এরপর দল ছাড়েন তবে তৃণমূলের ঘুরে দাঁড়ানো সত্যিই বড় কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!