মহুয়া মৈত্র মুখ খুলতেই টালমাটাল শাসকদলের অন্দরমহল! তীব্র ক্ষোভ-দ্বন্দ্বের স্পষ্ট ইঙ্গিত! তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য June 11, 2020 বক্তা হিসেবে তিনি অত্যন্ত দক্ষ হলেও সাংগঠনিকভাবে তার কাজকর্মে যে খুশি নন তাঁর দলের নেতাকর্মীরাই, তা যত দিন যাচ্ছে, তত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রথমে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্রের পক্ষ থেকে জেলা কমিটি পরিবর্তন নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। আর এবার দলের পরিচালিত পঞ্চায়েতের কাজের বিরুদ্ধে যেভাবে ভিডিও বার্তায় সরব হয়েছেন সেই মহুয়া মৈত্র, তাতে সেই অসন্তোষ আরও তীব্র হতে শুরু করেছিল। কিন্তু এর পরেও তিনি যে তার অবস্থান থেকে সরবেন না, তা কার্যত প্রমাণ করে দিলেন সেই মহুয়া মৈত্র। বুধবার নাকাশিপারার বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করে পঞ্চায়েতে জমে থাকা টাকায় মানুষের কাজ করার কথা বলে প্রধানদের রীতিমতো সতর্ক করে দিতে দেখা যায় তাকে। আর এতেই তৃণমূলের অনেক প্রধানরাই সেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূলের একাধিক পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে একটি বৈঠকে কেন ঠিকমত টাকা খরচ করা যাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মহুয়া মৈত্র। পরবর্তীতে সেই বৈঠক শেষ হওয়ার পর মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় একাধিক তৃণমূলের উপপ্রধানকে। এদিন এই প্রসঙ্গে নাকাশিপাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নীলকমল সরকার বলেন, “সাংসদের মত পঞ্চায়েত সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন। সকলকে কাজ ভাগাভাগি করে দিতে হবে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কিছুটা সরব হয়ে বিক্রমপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান রশিস মল্লিক বলেন, “উনি যেভাবে কাজের কথা বলছেন, তা সম্ভব নয়। আমরা যদি বড় বড় রাস্তা করি, তাহলে পাড়া গ্রামের অলিগলির কাজ করা সম্ভব হবে না। ফলে গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ হবেন। তাতে পঞ্চায়েতে বিশৃংখলা তৈরী হবে। ই- টেন্ডারের পরিকাঠামো আমাদের পঞ্চায়েতে নেই। আমরা সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করি।” একই কথা বলতে শোনা গেছে তৃণমূল পরিচালিত মুড়াগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্না মুখোপাধ্যায়কেও। আর মহুয়া মৈত্র প্রধানদের কাজ করার ব্যাপারে সতর্ক করে দিলেও, যেভাবে তার বার্তা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন তৃণমূলের প্রধানরা, তাতে মহুয়া মৈত্র অনেকটাই চাপে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা ইতিমধ্যেই ভিডিও বার্তায় যেভাবে দলের পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে মহুয়া মৈত্রকে, তাতে দল অনেকটাই চাপে পড়েছে। এমনকি এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন নদীয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু তারপরেও এদিন যেভাবে পঞ্চায়েতের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করে কাজ করার ব্যাপারে নিজের ফর্মুলা বাতলে দিলেন মহুয়া মৈত্র, তাতে খুব একটা খুশি নন প্রধানরা। যার ফলে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। আর একের পর এক ইস্যুতে যদি মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অসন্তোষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তাহলে দ্বন্দ্ব বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সমস্যার সমাধান করতে তৃণমূল নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -