এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মন্ত্রিত্ব না পাওয়াতেই কি ইস্তফা দিয়েছিলেন সৌমিত্র? দিলীপের কটাক্ষে বাড়ছে জল্পনা!

মন্ত্রিত্ব না পাওয়াতেই কি ইস্তফা দিয়েছিলেন সৌমিত্র? দিলীপের কটাক্ষে বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে কারা কারা জায়গা পাচ্ছেন, তা নিয়ে সকাল থেকেই জল্পনা শুরু হয়। অবশেষে ধীরে ধীরে বিষয়টি স্পষ্ট হতে শুরু করে। দুপুরের দিকে কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বাংলা থেকে চার প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন। যার মধ্যে রয়েছেন নিশীথ প্রামানিক, জণ বারলা, শান্তনু ঠাকুর এবং সুভাষ সরকার। আর আশ্চর্যজনকভাবে এই নামগুলো নিয়ে যখন আলোচনা চলতে থাকে, ঠিক তখনই শিরোনামে চলে আসেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সংসদ তথা বিজেপি রাজ্য যুব মোর্চার বর্তমান সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন বলে একটি পোস্ট করেন। পরবর্তীতে ফেসবুক লাইভ করে দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন সৌমিত্রবাবু।

তবে বিজেপির সঙ্গে তিনি যে সম্পর্ক ছেদ করছেন না, তাও জানিয়ে দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। যদিও এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার 180 ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুরোধের কারণে তিনি রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না বলে জানিয়ে দেন সৌমিত্রবাবু। আর তার এই উলটপুরানকে কেন্দ্র করে এমনিতেই সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। তবে সৌমিত্রবাবুর ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনার আগেই গোটা বিষয়ে মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যেখানে দিলীপবাবুর মন্তব্যের মধ্যে থেকে কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সৌমিত্রবাবু মন্ত্রিত্ব পাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। আর সেই আশা পূরণ না হওয়ার জন্যই কি মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের দিন দুপুরে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি? প্রশ্ন ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার কড়া ভাষায় জবাব দেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “ফেসবুকে কে কি পোস্ট করল, তা নিয়ে কিছু বলা যায় না। এটা মনের দুঃখ, কষ্ট বলার একটা জায়গা। অনেক বড় বড় লোকেরা বলে থাকেন, উনিও মাঝেমধ্যে বলেন। যার যেমন বোঝার শক্তি, তিনি তেমন বুঝবেন। কে কি বোঝে, তার অধিকার তো তাকে দেওয়া হয়নি। হয়তো মন্ত্রীর লাইনে ছিলেন, পাননি। তাই হতাশ।” আর এরপরেই পার্টিটা ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো লঞ্চিং প্যাড নয় বলেও মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্য পরেই প্রশ্ন উঠছে, সৌমিত্র খাঁ তাহলে কি মন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন? আর সেই লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার পরেই কি তিনি বিদ্রোহ পোষণ করেছেন?

পর্যবেক্ষকদের মতে, যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার তা ফিরিয়ে নেন সৌমিত্র খাঁ। আর তার আগে দিলীপ ঘোষের এই ধরনের মন্তব্য সৌমিত্রবাবুর অন্তরের আশা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে দিতে শুরু করেছে। প্রকাশ্যে সৌমিত্রবাবু রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তার বনিবনা না হওয়ার বিষয়টিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার অন্তরে যে মন্ত্রীপদ পাওয়ার একটা বাসনা থেকেই তিনি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর তা ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!