এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > অর্থই অনর্থের কারণ! বিধায়ক বেতন নিয়ে মহা-সমস্যায় বিজেপির চন্দনা!

অর্থই অনর্থের কারণ! বিধায়ক বেতন নিয়ে মহা-সমস্যায় বিজেপির চন্দনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   গরিব পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়ে তিনি। কিন্তু এবার সেই মেয়ে যার দিনান্তে কোনোরকমে খাবার জুটত, তিনি বিধায়ক হয়ে গিয়েছেন। শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন চন্দনা বাউরি। রাজনীতির কোনো জটিলতা বোঝেন না তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই গরিব ঘরের মেয়ে হিসেবে পরিচিত চন্দনা বাউরি বিধানসভায় গিয়ে শপথ নেওয়ার পর বিধায়ক হলে কত টাকা পাওয়া যায়, তা শুনে রীতিমত মাথায় হাত দিয়েছেন।

একজন বিধায়ক মাস গেলে প্রায় এক লক্ষ টাকা পান। তবে রাজনীতি থেকে শত যোজন দূরে থাকা চন্দনা বাউরি এবং তার পরিবার দিনে আড়াইশো টাকা রোজগার করেন। ফলে সেই তিনি বিধায়ক হওয়ার পর মাসে এক লক্ষ টাকা বেতন পাবেন শুনে রীতিমত তার চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। কি করবেন তিনি এত টাকা? আড়াইশো টাকার বিনিময়ে প্রতিনিয়ত সংসার চালানোর অভ্যাস যার, এক প্রায় লক্ষ টাকা দিয়ে সেই গরিব ঘরের মেয়ে চন্দনা বাউরি কি কাজ করবেন, এখন এই ভাবনা বড় চিন্তায় ফেলে দিয়েছে তাকে।

অনেকে বলছেন, রাজনীতিবিদ হলে হয়ত বা এই টাকা খরচ করা নিয়ে কোনো চিন্তা করতে দেখা যেত না চন্দনাদেবীকে। কিন্তু তিনি তো রাজনীতিবিদ নন। আর রাজনীতির জটিল-কুটিল অংক বোঝেন না। তাই সরলভাবেই এত টাকা বেতন শুনে রীতিমত চোখ কপালে উঠে গিয়েছে তার।

এদিন টাকার অংক শুনেই রীতিমত হতবাক হয়ে যান চন্দনা বাউরি। তিনি বলেন, “এত টাকা দিয়ে কি করা যায় বলুন তো!” অর্থাৎ এতটাই সরল চন্দনাদেবী যে, তার বিন্দুমাত্র লোভ পর্যন্ত নেই। হয়ত বা অন্যান্য সাধারণ মানুষ হলে এত টাকার অংক শুনে নিজের লোভ সামলাতে পারতেন না বা অতি সহজেই সেই টাকা খরচ হয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিতেন। কিন্তু রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং দুর্নীতি যখন সমার্থক শব্দ হয়ে দাড়িয়েছে, তখন কার্যত ব্যতিক্রমী বিজেপির এই বিধায়ক। বিধায়কের বেতন প্রায় এক লক্ষ টাকা। ফলে বর্তমানে তাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তো প্রতি সময় যাতায়াত করতে হয়। তাই তিনি তো এক মাসের বেতন দিয়ে গাড়ি কিনে নিলেই পারেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে চন্দনা বাউরি বলেন, “সেটার তো অনেক দাম। আর আমার দরকার নেই। যেখানে যাই, আমার স্বামী মোটরসাইকেল করে নিয়ে যান।” অর্থাৎ নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সংসার চালিয়ে যার অভ্যাস, এক লক্ষ টাকা বেতন শুনে তার রীতিমত ভিমরি খাওয়ার যোগার। চন্দনা বাউরীর সরল চোখ দুটো এখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে, কি হবে এত টাকা নিয়ে? কিভাবে খরচ হবে সেই টাকা?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এমন সরল জনপ্রতিনিধিই তো প্রয়োজন‌। যিনি মানুষের প্রয়োজনে নিজেকে উজাড় করে দেবেন। চন্দনা বাউরী রাজনীতির কিছু বোঝেন না। তাকে হয়ত বা বিজেপি প্রার্থী করেছে। কিন্তু তার মত ব্যক্তি প্রার্থী হয়ে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, এটা সেই বিধানসভায় এলাকার মানুষের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুখবর। কেননা সংসদীয় রাজনীতির মধ্যে যার আনাগোনা নেই, সেই তিনি বিধায়ক হওয়ার পর বেতনের কথা শুনে রীতিমত তাজ্জব বনে গিয়েছেন।

এত টাকা এখন কিভাবে তিনি খরচ করবেন, সেটাই বিজেপি বিধায়কের মনে প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনীতিবিদরা যখন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ, তখন চন্দনা বাউরি সারা রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে কার্যত দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন তার বিধানসভা এলাকার মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!