এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মন্ত্রীপদ পাওয়ার পেছনে একগুচ্ছ সমীকরণ, সামনে এল সুভাষের ইতিহাস!

মন্ত্রীপদ পাওয়ার পেছনে একগুচ্ছ সমীকরণ, সামনে এল সুভাষের ইতিহাস!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  অত্যন্ত মিতভাষী এবং ভদ্রলোক হিসেবেই পরিচিত বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেওয়া বিশিষ্ট চিকিৎসক সুভাষ সরকার। কোনোকালেই কোনো বিতর্কিত মন্তব্য থেকে শুরু করে এমন কোনো কাজ করেননি তিনি, যার জন্য খবরের শিরোনামে আসতে দেখা যায় তাকে। এক্ষেত্রে বরাবরই পর্দার পেছন থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তার অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে বলেই দাবি করেন সকলে। দলীয় শৃঙ্খলাকে মান্যতা দিয়ে ঠিক যেভাবে কাজ করা উচিত, যখন যা দায়িত্ব পেয়েছেন, তখন সেই দায়িত্ব সফলভাবে পালন করে নিজেকে দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সুভাষ সরকার।

একবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি হওয়ার ব্যাপারে তার নাম নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে সভাপতি করা হয়নি। তবে তাতেও মনঃক্ষুণ্ণ হননি তিনি। বরঞ্চ নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে কাজ করে গিয়েছেন। অবশেষে নীরবতা, ধৈর্য এবং শৃংখলার সুফল পেলেন সুভাষবাবু। তার এই তিনটি গুণের কারণেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সুভাষ সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল বলেই দাবি বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের।

বলা বাহুল্য, আরএসএসের রক্ত মিশে আছে সুভাষ সরকারের শরীরে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ করা হয়। যেখানে বাংলা থেকে আরএসএসের ভাবধারায় দীক্ষিত দেবশ্রী চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর তার অভাব পূরণ করতে যাতে মন্ত্রিসভায় আরএসএসের ছায়া থাকে, তার জন্যই সুভাষ সরকারকে সেই মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে আবার বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু নিজের লোকসভা কেন্দ্র বাঁকুড়া এবং পার্শ্ববর্তী লোকসভা কেন্দ্র বিষ্ণুপুরের দায়িত্ব ছিল সুভাষ সরকারের।

আর সেই দায়িত্ব অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পার করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। আর তারই পুরস্কার পেয়েছেন বিশিষ্ট এই চিকিৎসক। যখন যা সামনে এসেছে, যে কঠিন কাজেরই দায়িত্বই তাকে দেওয়া হোক না কেন, মুখ বুজে সমস্ত কিছু পালন করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিধানসভা নির্বাচন দলকে যতটা সম্ভব সাফল্য পাইয়ে দেওয়ার জন্য এবার নিজের ক্ষেত্রেও সেই সাফল্য পেয়ে গেলেন তিনি। অর্থাৎ সংগঠনে ধৈর্য এবং নীরবতার যে একটা বড় দাম রয়েছে, তা কার্যত প্রমাণ করলেন সুভাষ সরকার বলেই দাবি করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে দাবি করতে শুরু করেছেন, আর যাই হোক, সুভাষবাবু অত্যন্ত ভদ্র মানুষ। তাকে মন্ত্রী করে বাঁকুড়ার মানুষের জনমত আরও বেশি করে নিজেদের দিকে রাখার চেষ্টা করল ভারতীয় জনতা পার্টি। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন সকলের কাছে ডাক্তারবাবু বলে পরিচিত সুভাষ সরকার। তৃণমূলের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়লাভ করেন তিনি। তারপর বহু কঠিন রাস্তা তাকে পেরোতে হয়েছে।

সংগঠনের অনেক মারপ্যাঁচ এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে করতে উপলব্ধি করেছেন তিনি। তবুও সব কিছুকে মান্যতা দিয়ে সবার আগে যে দল, তা বারবার প্রমাণ করেছেন সুভাষ সরকার। আর সেই চরম নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে যাওয়া সুভাষবাবুকে এবার বড়সড় মর্যাদা দিল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। স্বভাবতই সাংসদ থেকে একেবারে মোদী মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে জায়গা পাওয়ার পর নিজের পরবর্তী জার্নি কতটা সফলতার সঙ্গে পালন করেন সুভাষবাবু, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!