প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  রবিবার ছিল বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। রাজ্যের পক্ষ থেকে একাধিক প্রতিনিধি সেই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন। সকলেই আশা করেছিলেন, বাংলা ভোট পরবর্তী অংশ থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় যখন পশ্চিমবঙ্গের নেতারা তুলে ধরবেন, তখন সেই ব্যাপারে কোনো সঠিক দিশা দেখাবেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে শেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখলেন, অথচ বাংলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে দেখা গেল না প্রধানমন্ত্রীকে। যার ফলে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

এমনিতেই বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমঝোতা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। আর এবার বিজেপি রাজ্যের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর বাংলা নিয়ে বার্তার দিকে তাকিয়ে থাকলেও, সেই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কোনো কথা না বলায় বাম এবং কংগ্রেসের সেই অভিযোগ প্রাসঙ্গিকতা পেল বলেই মনে করছেন একাংশ। যেখানে বাংলায় একের পর এক বিজেপি নেতা কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করছে, সেখানে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক সত্বেও কেন বাংলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করলেন না প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, রবিবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ছিল। রাজ্যের পক্ষ থেকে একাধিক প্রতিনিধি সেখানে বাংলার হিংসা সহ একাধিক কথা তুলে ধরেছিলেন। যার ফলে আশা করা গিয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রী হয়ত বা বক্তব্যের শেষে বাংলা নিয়ে মন্তব্য করবেন। তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিদের কাছে কেন্দ্রের বার্তা পৌঁছে দেবেন। কিন্তু সেভাবে বাংলা নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখতে দেখা গেল না প্রধানমন্ত্রীকে। যার ফলে বিজেপির একাংশ কিন্তু অত্যন্ত হতাশ। তাদের বক্তব্য, কেন প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট বার্তা দিলেন না?

স্বভাবতই এই প্রশ্নের জেরে আর একটি প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সত্যিই কোনো সমঝোতা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের? আর সেই কারণে বাংলার বিজেপি প্রতিনিধিরা একাধিক বিষয় তুলে ধরে জাতীয় কর্মসমিতির সোচ্চার হলেও, সেই বাংলা নিয়ে নীরব থাকতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে? দিনের শেষে কিন্তু এই প্রশ্ন ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।