এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি চূড়ান্ত অনাস্থা দেখিয়ে রাজ্যজুড়ে সাড়ে ছশো ডাক্তারের পদত্যাগ

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি চূড়ান্ত অনাস্থা দেখিয়ে রাজ্যজুড়ে সাড়ে ছশো ডাক্তারের পদত্যাগ

লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল বিরোধীরা। যা নিয়ে রীতিমত চাপেও পড়েছিল শাসক শিবির। আর এবার আইনশৃংখলার পর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উঠতে শুরু করল একাধিক প্রশ্ন। একদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের জেরে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল এবং আউটডোরে যেমন শিকেয় উঠেছে পরিষেবা, ঠিক তেমনই ধর্মঘটের নৈতিক সমর্থন জানিয়ে রাজ্যের সরকারি চিকিৎসক এবং প্রশাসকদের গনইস্তফায় রীতিমতো বিপর্যস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।

জানা গেছে, পিজির ১৭৮ জন, এনআরএসের ১০৮ জন, আরজিকরের ১২৬ জন, কলকাতা মেডিকেলের ২৮ জন, বর্ধমানের ৩৬ জন, মুর্শিদাবাদের ৩২ জন, মালদহের ২৫ জন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের ১০০ জনের বেশি ডাক্তার তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এদিকে চিকিৎসকদের এই গণ-ইস্তফার পরিস্থিতিকে ‘বাগে আনতে’ এদিন সন্ধ্যায় বিশিষ্ট ফিজিশিয়ান ডাক্তার সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের ৫ বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে যাতে চিকিৎসকরা তাঁদের ধর্মঘট তুলে নেন, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাক্তার প্রদীপ মিত্র এনআরএসের ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে গেলে পাল্টা সেখান থেকে দাবি জানানো হয় যে, মুখ্যমন্ত্রীকেই তাঁদের কাছে আসতে হবে। এদিকে এদিনই আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এহেন সংকটময় পরিস্থিতিতে চিকিৎসক নিগ্রহ ইস্যুতে শুক্রবার বিকেলে হাজার হাজার চিকিৎসক পথে নামেন।

যেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়, সমাজের বিশিষ্ট মানুষজনদের। যার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অপর্ণা সেন, দেবজ্যোতি মিশ্র, রূপম ইসলাম সহ অন্যান্যরা। আর বাংলার এহেন পরিস্থিতিতে এদিন প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় অন্যান্য রাজ্যের চিকিৎসকদেরও। অন্যদিকে এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা। তবে মেদিনীপুর মেডিক্যালের আউটডোর আংশিক খোলা থাকলেও জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে এখানে রোগীরা তাদের পরিষেবা ঠিকঠাক পাননি বলে অভিযোগ।

এদিকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ৫৫ জনের মধ্যে ৫০ জন চিকিৎসক গন-ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিলে এবং ধর্মঘটের জেরে চিকিৎসাব্যবস্থা শিকেয় উঠতে চলার অবস্থা হয়েছে। এদিকে এদিনই পিজিতে থাকা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের বাসিন্দা যদুচন্দ্র দাসের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যেন সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন সকলেই। আর তার থেকেও বড় কথা সামগ্রিক পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ ও ভূমিকা নিয়ে একাধিক মহল থেকে একাধিক প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!