এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আসছে লোকসভা – নিজের খাসতালুক নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনায় শুভেন্দু অধিকারী

আসছে লোকসভা – নিজের খাসতালুক নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনায় শুভেন্দু অধিকারী


আগামী বছরের শুরুতেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সব দলেই প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। এবার জেলায় জেলায় লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিল রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে তৃণমূলের বর্ধিত সভা ও বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়বার রণকৌশল স্থির করে দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

বিজেপিকে উত্‍খাত করতে জেলার তৃণমূলের সমস্ত কর্মী সমর্থকদের কোমর বেঁধে মাঠে নামার নির্দেশ দিল মন্ত্রী। এদিনের সভায় তিনি বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানদের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিতে হবে।” শনিবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা ও বিজয়া সম্মিলনী।

সেখানেই স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলেন, “বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি অর্থক্ষমতা এবং উন্নয়নের ভার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির হাতে। দল আপনাকে প্রধান এবং উপপ্রধানের দায়িত্ব দিয়েছে। তাই আপনারা নিজেদের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ৪-৫ হাজার বেশি ভোটের ব্যবধানে জেতান দলীয় প্রার্থীকে।”

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গেছে রাজ্যে বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী দল হিসেবে উঠে আসতে চলেছে। সারা রাজ্যের মত পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও ভোট বাড়িয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু লোকসভাভোটে আর যেন বিজেপি মাথা তুলতে না পারে তার জন্য এতদিন দলের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব ভোট করানো হত। কিন্তু এদিনের বক্তব্যে মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলে দেন, ‘প্রশাসনিক ক্ষমতা যেহেতু প্রধান-উপপ্রধানদের হাতে। সে কারণে ক্ষমতা ভোগের পাশাপাশি প্রধান-উপপ্রধানদের অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে সমন্বয় রেখেই এবারের লোকসভা ভোট করাতে হবে।”

পাশাপাশি শুভেন্দুবাবু আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা ঠিক যে গত লোকসভার তমলুক ও দক্ষিন কাঁথির উপ নির্বাচনে অনেকেই সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে ভোট দিয়ে তাদের হাত কিছুটা হলেও শক্ত করেছে। আগামী দিনে চেষ্টা চালিয়েও তিন,চারের লড়াইয়ে থাকবে হাত-হাতুড়ি-পদ্ম। আর চালিকা শক্তি এই জেলাতে বিগত দিনের মতো সবার শীর্ষে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস।”

মূলত বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রুখতেই এবার প্রধান-উপ্ৰধানদের এই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সাংসদ শিশির অধিকারী, সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, জেলাপরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, ফিরোজা বিবি, সুকুমার দে সহ অন্যান্য বিশিষ্ট নেতৃত্ববৃন্দ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

লোকসভা ভোটের আগে আগামী দিনে কোথায় কিভাবে সভা ও মিটিং মিছিল অনুষ্ঠিত হবে, তা দলীয় কর্মীদের জানিয়ে দেন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি। আগামী জানুয়ারি মাসের ব্রিগেড অধিবেশনের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে বাংলায় বিজেপির ঠাঁই নেই। এদিনের সভা থেকে সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!