মালদা উত্তরে মৌসম নুরের বিরুদ্ধে ঈশা খান প্রার্থী হতেই লড়াই জমে গেল? বাড়ছে জল্পনা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য March 20, 2019 মালদহের কংগ্রেসের প্রয়াত গনি খান চৌধুরী চলে গেলেও তার মৃত্যুর 13 বছর পরেও এখনও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক সেই গনি গড় মালদার কোতোয়ালি ভবন। বর্তমানে এই কোতোয়ালি পরিবারের এক সদস্য তথা মালদহ জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী মৌসম নুর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। আর তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন সেই কোতোয়ালি পরিবারেরই সদস্য তথা মৌসম নুরেরই দাদা ইশা খান চৌধুরী। আবার কোতোয়ালি পরিবারেরই আরেক সদস্য তথা দীর্ঘদিনের প্রবীণ রাজনীতিবিদ কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরী আবার দক্ষিণ মালদহ থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। ফলে ভিন্ন দল থেকে লড়লেও মালদহের কোতোয়ালি ভবন যে জেলা রাজনীতিতে এখনও প্রাসঙ্গিক তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। কিন্তু এতদিন যে মৌসম বেনজির নূর কংগ্রেসের হয়ে লড়ত এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র থেকে সেই তিনিই তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন। আর তার বিরুদ্ধেই লড়ছেন তারই দাদা কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী। কেমন হবে এই লড়াই? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী বলেন, “জেলার উন্নয়নে বরকত গনি খান চৌধুরী একটা মাইলফলক হয়ে আছেন। কোতোয়ালি ভবনের সঙ্গে ঐতিহ্যের রাজনীতি জড়িত। তাই ভোটের আগে বিরোধী দলগুলো কোতোয়ালি পরিবারকে ব্যবহার করতে তৎপর হয়ে পড়ে।” অন্যদিকে বরকত সাহেব জেলায় সামাজিক মূল্যবোধের বুনিয়াদ তৈরি করে গেছেন। কিন্তু বিজেপির আক্রমণে সেই মূল্যবোধ বিপন্ন হওয়ায় তাকে রক্ষা করতেই তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজির নূর।অনেকে বলছেন, 1957 সালে শাহ জালালপুরের পৈতৃক জমিদারি থেকে বেরিয়ে সুজাপুরের বিধানসভা ভোট ময়দানে নেমে চৌধুরী বাড়ির মেজ শাহকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। 1980 সালে ভোটে দাড়িয়ে কোনবারই আর হারেননি প্রয়াত বরকত গনি খান চৌধুরী। আর তারপর ভোট রাজনীতিতে অপরাজেয় হিসেবেই 2006 সালে মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু তার মৃত্যুর 13 বছর পরেও এখনও মালদহ জেলা রাজনীতিতে সমানভাবেই প্রাসঙ্গিক এই কোতোয়ালি ভবন। আর তাইতো আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সেই কোতোয়ালি ভবনেরই তিন সদস্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে লড়ছেন। সব মিলিয়ে বরকত গনিখান চৌধুরী চলে গেলেও মালদহের মূল রাজনীতির ক্ষেত্র হিসেবেই রয়ে গেছে তাঁর কোতোয়ালি ভবন। আপনার মতামত জানান -