এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমাদের একটা কর্মীর মাথা ফাটিয়ে ওরা দেখুক তারপর বিজেপি কর্মীদের কী পরিস্থিতি হয় – অরূপ রায়

আমাদের একটা কর্মীর মাথা ফাটিয়ে ওরা দেখুক তারপর বিজেপি কর্মীদের কী পরিস্থিতি হয় – অরূপ রায়


দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে গেরুয়া শিবির যখন জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ ইস্যুতে জন সচেতনা বৃদ্ধি করছে তখন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এনআরসি’র ইস্যুর পশ্চাদে ‘রাজনীতি’র প্রভাব কী তা জনগনকে বোঝাতে বদ্ধ পরিকর। প্রসঙ্গত গত রবিবার এনআরসি ইস্যুতে গনচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাওড়ার শিবপুর ব্যাতাইতলা বাজারে বিকেলে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

সেই সভা থেকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীকরণ নিয়ে সরব হওয়া বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কামান দেগেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গেরুয়া শিবিরের জনসভার মাত্র কয়েক ঘ্নটার মধ্যেই ঐ একই স্থানে সভা করলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস আয়জিত এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন  রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার, হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অরবিন্দ গুহ, তৃণমূল নেতা সৃষ্টিধর ঘোষ, শ্যামল মিত্র, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন মিত্র, পার্থ বসু, ভাস্কর ভট্টাচার্য, নির্মলেন্দু চট্টোপাধ্যায়, নাসরিন খাতুন, সুশান্ত করাতি প্রমুখ নেতৃ বৃন্দ।

এই সভা থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সদর সভাপতি অরূপ রায় তাঁর বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন গেরুয়া শিবিরকে। গেরুয়া শিবিরের জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের শীর্ষনেতাদের নাম না করেই তিনি তাঁদের সমালোচনায় মুখর হলেন। একদম তাচ্ছিল্যের সুরেই আগের দিনের সভার উল্লেখ করে তিনি বললেন, রবিবার ঐ একই স্থানে একটি সভার আয়োজিত হয়েছিলো এবং সেই সভায় এই রাজ্যের হঠাৎই এক নেতার আর্বিভাব হয়। যিনি কোনো ভাবেই রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নন।

অরূপ বাবুর মতে তিনি এবং তাঁর সমসাময়িক রাজনীতিবিদদের যেখানে আনুমানিক ৪০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা  রয়েছে সেখানে ঐ নতুন নেতা কোনো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছারাই নেগেটিভ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এরপরেই পরপর দু দিন একই সভাস্থলে আয়োজিত দুটি জনসভায় জনগনের উপস্থিতির তারতম্য বিচার করে বললেন, যেখানে রবিবারের সভায় ১৫০-২০০ লোক হয়েছিল। সেখানে এদিনের সভায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতির সংখ্যা বহু গুণ বেশি। এমনকি বিজেপি দলের সভায় উপস্থিত জনগনকে গ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয়েছিলো বলেও দাবি করলেন তিনি।

একইসাথে সম্প্রতি অসমের শিলচর এয়ারপোর্টে অসম পুলিশের দ্বারা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের নিগ্রহের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানালেন। বিরোধী দলকে কার্যত হুমকি দিয়েই তাঁর ভাষনের পরবর্তী অংশে রাজ্যের মন্ত্রী বললেন, এমন দিন আসবে যখন গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা পাড়ায় পাড়ায় জনগনের নিগ্রহের শিকার হবে। তখন একজোট হয়ে যে সেই প্রতিকূল অবস্থায় মোকাবিলা করবে এমন সংঘবদ্ধতা ও বিজেপি শিবিরের নেই বলে তিনি দাবি করলেন। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রীর কথায় প্রতি এলাকায় শাসক দলের কর্মীর সংখ্যা বর্তমানে লক্ষাধিক। একজন দলীয় কর্মীও কোথাও কোনো ভাবে বিরোধীদের দ্বারা নিগ্রহীত হলে মুহূর্তের মধ্যেই তাঁরা যোগ্য জবাব পেয়ে টের পেয়ে যাবেন তারা ঠিক কী করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!