এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রেলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে শিলিগুড়ির ‘বেতাজ বাদশা’ জমি মাফিয়া হিম্মতের উত্থানের কাহিনী

রেলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে শিলিগুড়ির ‘বেতাজ বাদশা’ জমি মাফিয়া হিম্মতের উত্থানের কাহিনী

দীর্ঘদিন ধরেই রেলের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী ছিলেন “বেতাজ বাদশা” – জয়প্রকাশ চৌহান ওরফে হিম্মত। কিন্তু ক্ষমতার অদলবদলে কখনও বাম সরকার তো কখনও বর্তমান সরকারের দৌলতে এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। জানা যায়, শিলিগুড়ির জংশন ষ্টেশন, কুলিপাড়া কয়েকজন যুবককে নিয়ে একঁই দলও গড়েছেন এই হিম্মত।

সূত্রের খবর, এই জয়প্রকাশ চৌহান ওরফে হিম্মতের বাবা তথা কংগ্রেস নেতা এবং রেলকর্মী শিবপ্রসাদ চৌহান 1983 সালে খুন হন। তখন কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল যে, এই খুনে সিপিএমের হাত রয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয়দের দাবি স্থানীয় গন্ডগোলেই এই শিবপ্রসাদ চৌহানের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে বাবা মা হারানোর পর হিম্মত রেলের চাকরিতে যোগ দিয়ে হঠাৎ সিপিএমের সক্রিয় কর্মী হিসাবে ময়দানে নেমে পড়েন।

সিপিএমের হাত ধরেই  বালি, পাথর, পরিবহন ব্যাবসা দিয়ে জমির কারবারেও বেশ পাকাপোক্ত হিসাবে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। মাঝে এই বামেদের সাথে দূরত্ব তৈরি হলে ফের এই হিম্মত বাবার পুরোনো দল কংগ্রেসে যোগ দেন। জানা গেছে, রাজ্যে তৃনমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর 2013 সালে ফের দলবদল করে রাজ্যেরই এক মন্ত্রীর হাত ধরে তৃনমূলে যোগ দেন। এদিকে এরপর থেকেই শিলিগুড়ির এক তৃনমূল নেতার অনুগামীর সাথে কয়েক কোটি টাকায় শালুগাড়ায় হোটেল, চম্পাসারিতে মদের দোকান, হার্ডওয়ার, মার্বেলের ব্যাবসা শুরু করে এই হিম্মত।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

অভিযোগ, গত এক বছর ধরে এই তৃনমূল নেতা হিম্মতের বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি জমি দখলের অভাযোগ ওঠায় এদিন  সিপিএম নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন. ” এইসব চৌহানদের ঘাসফুলের আমলেই বাড়বাড়ন্ত। মুখ্যমন্ত্রী ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। এই জমি কারবারে যারাই জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দরকার।” এ প্রসঙ্গে হিম্মতের প্রাক্তন দল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “ও আমাদের দলে কিছুদিন ছিল। তবে ও তো চুনোপুটি। ওর সাথে থাকা বড় মাথাদের আদৌ ধরা হবে কি না সেটাই শহরবাসী জানতে চায়। তবে তাঁদের দলের কর্মী হলেও আইন যে আইনেল পথে চলবে তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃনমূল সভাপতি তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!