প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরই অন্য রাজ্যগুলোতে সংগঠন চাঙ্গা করতে মনোযোগী হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির। সেই মতো করে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু তারপরেও সেখানকার বিজেপি সরকার ব্যাপকভাবে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের একটি মন্তব্য নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

যেখানে একটি ভিডিও বার্তায় নিজেকে বাঘ বলে অভিহিত করে তার হাতেই সব ক্ষমতা, এমন একটি কথা বলতে দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে। আর এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই সেই বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একজন মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে এইরকম কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী এবং তার ভাইপো। যাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

সূত্রের খবর, এদিন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রচারে উপস্থিত হয়ে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কোর্ট কি করবে? আমিই সব। আমি কাউকে মানি না‌। একজন মুখ্যমন্ত্রী যা খুশি বলছেন। এটা এক ধরনের ধ্বংসাত্মক মনোভাব। ওনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা উচিত।” পাশাপাশি এই ব্যাপারে একটি টুইট করতেও দেখা গেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

টুইটারে তিনি লেখেন, “বিপ্লব দেব সমগ্র জাতির কাছে লজ্জা। তিনি নির্লজ্জভাবে গণতন্ত্রকে বিদ্রুপ করছেন। মাননীয় বিচারককে অপমান করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট কি তার এমন মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে, যা আদালতের গুরুতর অসম্মানকে প্রতিফলিত করে?” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে এ যেন বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণে বিন্দুমাত্র দেরি না করে তার সেই ভিডিও বার্তার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূল আরও বেশি করে ত্রিপুরাতে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে পারে। কেননা বিজেপি বারবার পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই যৌথ আক্রমণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।