এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতা কোমর বেঁধে নামতেই কি মুকুল-ম্যাজিক “ভ্যানিশ”? তীব্র জল্পনা শুরু রাজ্য-রাজনীতিতে

মমতা কোমর বেঁধে নামতেই কি মুকুল-ম্যাজিক “ভ্যানিশ”? তীব্র জল্পনা শুরু রাজ্য-রাজনীতিতে


সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মুকুল রায় ঘোষণা করেছিলেন, 23 টি আসনে জয়যুক্ত হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তৃণমূল কংগ্রেস কুড়িটির কম আসন পাবে। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতে দেখা যায় নিজের ঘোষণা মোতাবেক 23 টি আসন না পেলেও দুইটি আসন থেকে এক লাফে 18 টি আসন লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর 42 এ 42 দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস 22 টি আসনেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। আর তৃণমূলের কাছে এই ফল এতটা অনভিপ্রেত ছিল যে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনদিন কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আর এরপরই বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায় ঘোষণা করেন, আগামী 2021 সালের নির্বাচনের আগে সাত দফায় তৃণমূল কংগ্রেস দলে ভাঙন ধরাবেন। এককালে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় নিজের ঘোষণা মত পরপর দুইবার তৃণমূল দলের বড়সড় ভাঙ্গন ধরাতে সক্ষম হয়।

কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিজের দলের ভাঙ্গন রুখতে যখন কোমর বেঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসরে নেমেছেন, তখন কিছুটা ব্যাকফুটে পড়ে গেছেন এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহচর মুকুলবাবু। লোকসভা নির্বাচনের পর পর যেমন দেখা গিয়েছিল পৌরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, গ্রাম পঞ্চায়েত সব স্তর থেকে তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভারতীয় জনতা পার্টির ঘরে গিয়ে ভিড় বাড়াচ্ছে, আর কার্যত চিন্তামগ্ন হয়ে পড়ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসরে নামাতে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু স্থিতিশীল পরিস্থিতি নয়, রঙ্গমঞ্চে মমতাদেবী নামাতে সমগ্র পরিস্থিতি এখন উল্টে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে প্রতিকূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়শই দেখা যাচ্ছে, দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিসগুলো পুনরায় ফিরে আসছে তৃণমূলে, দল বদল করা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, জেলা পরিষদের সদস্য, পৌরসভার কাউন্সিলর সকলেই ঘরে ফিরতে ব্যস্ত। তাই মনে করা হচ্ছে, যেমন কথিত রয়েছে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে, তেমনই রাজনীতিতে এককালে মুকুল রায়ের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তার নেতৃত্ব দেখাতে শুরু করেছেন মুকুল বাবুকে। আর সেইজন্যেই বঙ্গ রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এখন গোলের পর গোল দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বর্ধমানের কেতুগ্রামের প্রায় 150 জন গ্রাম পঞ্চায়েত নেতাকর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সেইখানে তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ দলবদল করা বিজেপি কর্মীদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “মানুষ বুঝতে পেরেছে বিজেপি দলটা সাধারণ মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর। শুধু বর্ধমানের কেতুগ্রামই নয়, মুকুল রায়ের খাসতালুক বলে খ্যাত উত্তর 24 পরগনা জেলার কাঁচরাপাড়া বিধানসভার যে সমস্ত কর্মীরা দলবদল করে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তারাও এখন ঝাকে ঝাকে তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন।

নোয়াপাড়ার বিধায়ক তথা গারুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সুনীল সিংহের সঙ্গে এক ঝাঁক কাউন্সিলররা ভারতীয় জনতা পার্টির খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। এখন আবার সেই সমস্ত কাউন্সিলররা পুনরায় তৃণমূলে ফিরে আসতে শুরু করেছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই এইরকম ছবি সামনে আসছে।

তাই রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ম্যাজিক দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন। যার কারণে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেছে মুকুল রায়। তাই একাংশের দাবি, এখন যদি নতুন কোনো রকম প্রক্রিয়া গ্রহণ না করে ভারতীয় জনতা পার্টি, তাহলে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে গোলের পরে গোল খেতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তাই নিজেদের ঘরকে শক্ত করতে এখন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে গেরুয়া শিবির এবং প্রবাদপ্রতীম নেতা মুকুল রায়, সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!