এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃনমূল ভাঙিয়ে দু দুজন হেভিওয়েট যুব নেতাকে দলে নিয়ে মুকুল রায়ের এবার কি লক্ষ শাসক দলের ছাত্র যুবরা?

তৃনমূল ভাঙিয়ে দু দুজন হেভিওয়েট যুব নেতাকে দলে নিয়ে মুকুল রায়ের এবার কি লক্ষ শাসক দলের ছাত্র যুবরা?


তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরেই মুকুল রায় দাবি করেছিলেন যে, তার হাত ধরে এই রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা বিজেপিতে যোগদান করবেন। আর নিজের কথাকে কিছুটা হলেও সত্যি করে কিছুদিন আগেই তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ভারতী ঘোষের পর এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই পিসি বলে ডাকা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ 2014 সালে দিল্লিতে তৃণমূলের টিকিটে লড়া অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিলেন।

যা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আজ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। অনেকের মতে, এই শঙ্কুদেব পণ্ডা তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। বিগত বাম আমলে অত্যন্ত নিষ্ঠা সহকারে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। আর তার এই নিষ্ঠা দেখেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় শঙ্কু।

তবে 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশ্য ভিডিওতে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে টাকা নিতে দেখা গেলে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাথে দিনকে দিন গুরুত্ব দূরত্ব বাড়তে থাকে সেই শঙ্কুদেব পন্ডার। আর এরপরই তেমনভাবে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু গতকাল সেই শঙ্কুদেব পণ্ডাই তৃণমূলের পতাকা ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, যে কোনো নির্বাচনেই ছাত্র এবং যুবকদের ভূমিকা অপরিহার্য হিসেবেই গণ্য করা হয়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাতে দলীয় সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করে 42 এ 42 টি আসনই নিজেদের দখলে রাখা যায় তার জন্য ছাত্র এবং যুবর হাতেই প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছেন।

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে এবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরে সেই একদা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা এবং অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদান আসলে বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায়ের এ এক অন্য রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল সংগঠনকে ভাঙানোর পাশাপাশি মুকুলবাবু এবার শাসক দলের শাখাসংগঠনগুলিকেও পাখির চোখ করেছে। কারণ অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি ভালোই জানেন ক্ষমতায় আসতে ছাত্র এবং যুবদের লাগবেই।

আর তাই তো এবার শঙ্কুদেব পণ্ডার মত এককালের দাপুটে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা এবং বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দলে নিয়ে মুকুল রায় কিছুটা হলেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভোট বাক্সে এর কোনো প্রভাব পড়ে কি না এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!