এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল রায় চলে যাবার পর বহু স্মৃতি নিয়ে শূন্যতায় জর্জরিত তাঁর ব্যবহৃত ঘরটি

মুকুল রায় চলে যাবার পর বহু স্মৃতি নিয়ে শূন্যতায় জর্জরিত তাঁর ব্যবহৃত ঘরটি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় চার বছর ধরে বিজেপিতে ছিলেন মুকুল রায়। দলে ক্রমশই তাঁর গুরুত্ব বাড়ছিল। তাঁকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ দেয়া হয়েছিল। হেস্টিংসের দপ্তরে তাঁর জন্য একটি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছিল। বহু মানুষ সমাগমে জমজমাট থাকত এই ঘর। মুকুল রায়ের ব্যবহৃত বহু জিনিস এখনও পড়ে আছে এই ঘরের ভেতর। কিন্তু এখন এখানে সম্পূর্ণ শূন্যতা। বহু স্মৃতি নিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে মুকুল রায়ের ব্যবহৃত এই ঘরটি।

গত শুক্রবার তৃণমূলে যোগদান করেছেন মুকুল রায়। দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়তে শুরু করেছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ লাভ করতে পারেন মুকুল রায়, এমন একটা জল্পনা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে তাঁর দায়িত্বও বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে, জানা যাচ্ছে। তৃণমূল ভবনে তাঁর জন্য ঘরও বরাদ্দ করা হবে। হেস্টিংসের দপ্তরে তাঁর জন্য বরাদ্দ করা ঘরটি এখন তালা বন্ধ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দু’নম্বর সেন্ট জর্জেস গেট রোডে অবস্থিত হেস্টিংসের এই দপ্তর। এর প্রকৃত নাম আগরওয়াল হাউস। এই দশতলা বাড়ির ন তলাতে ছিল মুকুল রায়ের ঘর। যে ঘরের নম্বর ছিল ৮০৩। এই ঘর এখন তালা বন্ধ হয়ে গেছে, নেমফ্লেট খোলা হয়ে গেছে। এর আশেপাশে দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখদের ঘর রয়েছে। ভোটের আগে ৮০৩ নম্বর ঘরে সব সময় মানুষের যাতায়াত থাকতো। এই ঘরে আসতে গেলে কোন অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হতো না।

ঘরে মুকুল রায়ের ব্যবহৃত বহু জিনিস পড়ে আছে। যার মধ্যে আছে খাবারের থালা, কাপ, প্লেট, চামচ ইত্যাদি সহ অনেক কিছু। শেষ কবে যে মুকুল রায় এই ঘরে এসেছেন? তা অনেকেই জানেন না। ভোটের ফলাফলের পর তিনি এই ঘরে আসবেন বলে, অনেকেই অপেক্ষা করতেন। এখন এই ঘরের নেম প্লেট খুলে রাখা হয়েছে। আগামী দিনে এই ঘর কার জন্য বরাদ্দ করা হবে? তা এখনও জানা যাচ্ছে না।

এদিকে, যে মুকুল রায়কে নিয়ে বিজেপি অনেক বড় স্বপ্ন দেখেছিল, তিনিই বিজেপিকে বড়োসড়ো আঘাত দিয়েছেন। বিজেপির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির দায়িত্ব তিনি একসময় নিয়েছিলেন, এখন তিনিই বিজেপিকে ভেঙে দেবার দায়িত্ব নিয়েছেন। তৃণমূলে যোগদান করার পরই বেশকিছু বিজেপির বিধায়ক, সাংসদকে ফোন করেছেন মুকুল রায়। বিজেপি ছেড়ে যেতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার বিজেপি ছাড়ার জল্পনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!