ঘনিষ্ঠের নাম জড়ালো ২২ লক্ষ টাকা প্রতারণার দায়ে, বড়সড় অস্বস্তিতে মুকুল রায় বিশেষ খবর রাজ্য December 9, 2017 কিছুদিন আগে কলকাতার রাস্তায় নিজের গাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মুকুল রায়ের খান্না অফিসের বাড়ির মালিক শরদ সিংহকে। তাঁকে স্থানীয় থানায় নিয়ে না গিয়ে সরাসরি লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জানানো হয় যে ২০১১ সালে এক ব্যক্তিকে শেয়ার কেনা সংক্রান্ত পরামর্শ দেন অভিযুক্ত শরদ সিংহ, সেই পরামর্শ শুনে শেয়ার কিনে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হন ওই ব্যক্তি। তাই তাঁর করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শরদ সিংহকে। যা নিয়ে রীতিমত হইচই পরে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ আনে বিজেপি, এমনকি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের এই পরিস্থিতি তুলে ধরে এখানে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও জানানো হবে বলে জানানো হয়। সেই একই মামলাতে এবার নতুন মোর। শারদ সিংহের নামে এবার ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এল। যদিও প্রথমদিন এই তথ্য জানানো হয় নি, কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে শেয়ার কেনা-বেচার নাম করে শরদ সিংহ নাকি ওই ব্যক্তির প্রায় ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আর তাই প্রতারণার মামলায় তদন্তে নেমেছে খোদ লালবাজার। ওই ২০-২২ লক্ষ টাকা তিনি কোথায় সরিয়ে রেখেছেন আর তা কোনও প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছে গেছে কিনা সেটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার বক্তব্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায় বারবার বলে এসেছেন সরকারের বিরোধিতা করলেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। শরদ সিংহের গ্রেপ্তার তার জ্বলন্ত উদাহরণ, কোথাও কিছু নেই ২০১১ সালের ঘটনা নিয়ে এতদিনে ঘুম ভাঙ্গল? আসলে শরদ সিংহের মাধ্যমে মুকুল রায়কে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মুকুল রায়কে রাজ্য সরকার ভয় পেতে শুরু করেছে, কিন্তু এইভাবে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করে বেশিদিন রাখতে পারবে না বর্তমান রাজ্য সরকার। আপনার মতামত জানান -