এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ শুরুই করিনি তাতেই ৮ দিচ্ছে! খেলতে নামলে তাহলে কি ফলাফল হবে? মুকুল রায়

‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ শুরুই করিনি তাতেই ৮ দিচ্ছে! খেলতে নামলে তাহলে কি ফলাফল হবে? মুকুল রায়

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – একদা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অঘোষিত দুনম্বর নেতা মুকুল রায়, দলে মতাদর্শগত পার্থক্যের জন্য দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে একজন সাধারণ বিজেপি কর্মী হিসাবে যোগদান করেন। কিন্তু, তখনই তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন – তৃণমূল কংগ্রেসের যে সংগঠনের কথা এত বলা হয়, আদতে তা উইয়ের ঢিপি! একটু নাড়া দিলেই তা ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়বে! এই কথা বলার পর তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে কম আক্রমন করেননি, কখনও কখনও তো তা ব্যক্তিগত শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে কুৎসিত অরাজনৈতিক শব্দবন্ধনীতে ধরা দিয়েছে।

কিন্তু, নিজের মতাদর্শে অবিচল মুকুল রায় – স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনীতিতে সঠিক সময় ও সুযোগের অপেক্ষা করা খুব জরুরি। তিনি যে, তাঁর চিন্তায় কতটা সঠিক তা আবারো ধীর ধীরে প্রমাণিত হচ্ছে। বিজেপিতে সাধারণ কর্মী হিসাবে যোগদান করলেও এই দেড় বছরে নিজের ক্যারিশমায় একের পর এক নির্বাচনে বিজেপিকে সাফল্য এনে দিয়ে তিনি আপাতত বাংলায় বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের গুরু দায়িত্ব পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর উপর নির্ভর করেই অমিত শাহরা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একগুচ্ছ হেভিওয়েট নেতাকে বিজেপিতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়ায় আছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল বিকেলে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেই, বাংলার এক জনপ্রিয় বেসরকারি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এক সমীক্ষা প্রকাশিত হয়। সেই সমীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে মুকুলবাবুর মতামত জানার জন্য আমাদের তরফ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় – মুকুলবাবু আপাতত দলীয় কাজে দিল্লিতে। তাই, টেলিফোনেই মুকুলবাবু বলেন, আমি তো এখনো ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ শুরুই করি নি, তাতেই ৮ টি আসন বিজেপিকে দিচ্ছে। তারমানে, প্রমাণিত দিদিমনির ৪২ এ ৪২ পাওয়া আর হচ্ছে না। অর্থাৎ, ওনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ারও সলিল সমাধি নির্বাচন ঘোষণার সাথে সাথেই হয়ে গেল! এরপর যখন আমি খেলতে নামব, যখন তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে, তখন তাহলে বাংলায় বিজেপির আসন কতগুলি হবে বুঝতে পারছেন?

মুকুলবাবু আরও বলেন, তবে এই সমীক্ষার কতখানি বাস্তবতা আছে জানি না। আসল সমীক্ষা করতে হলে, আপনি বনগাঁ বা কল্যাণী লোকালে উঠে বা হাওড়া-বর্ধমান লোকালে উঠে তৃণমূলের নামে একটা প্রশংসা করে চুপ করে যান – দেখবেন সেখানে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গোটা বাংলার নাভিঃশ্বাস তুলে দিয়েছে – কলেজে ভর্তি হতে গেলে তোলাবাজি, চাকরি পেতে গেলে তোলা দিয়েও চাকরি নেই, সরকারি কর্মীদের ডিএ নেই, পে কমিশন নেই! সাধারণ মধ্যবিত্ত সমাজ এদের তোলা দিতে দিতে আর সিন্ডিকেট রাজে অতিষ্ঠ হয়ে মন ঠিক করে ফেলেছে – এবার বাংলা, চলো পাল্টাই। ২৩ শে মে ইভিএম খুললেই দিদিমণি দেখতে পাবেন, সাধারণ মানুষ রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিতাড়নের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছেন – তৃণমূল কংগ্রেসের ফানুস চুপসে গিয়ে, ওদের আসন সংখ্যা ২০-এর নীচে নামিয়ে দিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!