প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে দুই হাত ভরে ভোট দিয়েছে। কিন্তু সব থেকে বেশি সেই মুসলিম সমাজের ক্ষতি করছেন এই রাজ্যের শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি কোচবিহারে যে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে, যেভাবে এক মুসলিম মহিলার সর্বনাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তার বিরুদ্ধে গোটা রাজ্য জুড়ে সমালোচনার আবহ তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে মুসলিম সমাজের সামনে সেই তথ্য নিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারীও বুঝিয়ে দিলেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কতটা ক্ষতি করছেন সংখ্যালঘু সমাজের।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এটা বর্বোরোচিত এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটা ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্তর্জাতিক স্তরেও এর সমালোচনা হচ্ছে। মুসলিম সমাজ, যারা ২০২১ সালে তৃণমূল কি ৯১ শতাংশ এবং এবার ৯৫ শতাংশ ভোট দিয়েছেন, তারা দেখুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের অত্যাচার। বগটুই থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় এই কাজ করেছে। মুসলিম মহিলাদের এভাবেই সর্বনাশ করা হচ্ছে।”

একাংশ বলছেন, এরপরেও কি মুসলিম সম্প্রদায় তৃণমূলকে নিরাপদ দল বলে দাবি করছেন? যারা বিজেপিকে ভোট দেবেন না বলে মনস্থির করেছেন, তারা একটু ভেবে দেখুন। বিজেপি কিন্তু কখনও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিন্তু তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার পরেও যেভাবে মুসলিম মা-বোনেরা প্রতিমুহূর্তে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, এই রাজ্যে যেভাবে তাদের ওপর পৈশাচিক হামলা হচ্ছে শাসকদলের দ্বারা, তারপর আর কতদিন চুপ করে থাকবেন রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘুরা? এবার তাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্যাসিস্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে অন্তত গর্জে ওঠা উচিত। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।