এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা! এবার ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ সরকারি কর্মীদের ঘুম ওড়াবেন প্রধানমন্ত্রী

না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা! এবার ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ সরকারি কর্মীদের ঘুম ওড়াবেন প্রধানমন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই যেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতি রোধে শুদ্ধিকরণে জোর দিয়েছেন, ঠিক সেভাবেই এবার দেশের প্রধানমন্ত্রীও দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের শাসনকালের শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটাই স্লোগান  ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর স্লোগানের মধ্য দিয়ে যে ‘বোল্ড ইমেজ’ তৈরি হয়েছিল তাঁর, তা যেন কিছুদিন যাবৎ কোথাও একটা ধাক্কা খাচ্ছিল।

আর সে ব্যাপারটি নজরে আসার পরেই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নড়েচড়ে বসেছেন। এবং তাঁর বার্তা অনুযায়ী কড়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রের কর্মিবর্গ, জন অভিযোগ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ভার্চুয়াল মাধ্যমেই এবার বিভাগীয় তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে এবং অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে হবে। সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি অফিসে দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত তদন্ত থমকে রয়েছে আর তারই সুযোগ নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কানে খবর পৌঁছায় এবং তার পরেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঘনিষ্ঠদের মধ্যে। মন্ত্রিসভার সতীর্থদের কাছেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যাই হোক না কেন সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি যেন কোন মতেই কালিমালিপ্ত না হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি অফিসে দুর্নীতি বা বিশৃঙ্খলায় অভিযুক্তদের কোনভাবে রেয়াত করা হবে না। গত 5 ই আগস্ট এই সংক্রান্ত সরকারের প্রতিটি মন্ত্রকে একটি সার্কুলার জারি করেন আন্ডার সেক্রেটারি সতীশ কুমার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, করোনা চললেও বিভিন্ন মন্ত্রকে এবং তাদের অধীনস্থ যেসব বিভাগগুলিতে দুর্নীতি ও শৃঙ্খলাজনিত অভিযোগের বিভাগীয় তদন্ত থমকে রয়েছে, সেগুলিকে আবার নতুন করে দ্রুত শুরু করে শেষ করতে হবে। এবং তার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের। সরকারি সূত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর বন্দোবস্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিককেই করতে হবে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহামারীর সময়কালে বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতিসহ শৃঙ্খলাভঙ্গের যে কয়েকশো অভিযোগ জমা পড়েছিল, তার তদন্ত হঠাৎ করেই থমকে গিয়েছিল। এই অবস্থায় নতুন করে আবার ভার্চুয়াল তদন্ত শুরু হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশে খুব স্বাভাবিক ভাবেই অভিযোগকারীদের মনে আশার আলো জেগেছে। এবং যথারীতি এটি অভিযুক্তদের কাছে একটি দুঃসংবাদ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শাসকের আসনে বসে যেভাবে নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করার জন্য দুর্নীতি রোধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তা যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!