এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর রিভিউ মিটিং শেষেই বড় ঘোষণা- জানুন বিস্তারিত

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর রিভিউ মিটিং শেষেই বড় ঘোষণা- জানুন বিস্তারিত


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বাংলায় খুব একটা ভালো ফল করেনি। 34 থেকে নেমে তাদের আসন সংখ্যা 22 এসে দাঁড়িয়েছে। যা নিয়ে তীব্র অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। অপরদিকে রাজ্যে 2 থেকে বাড়িয়ে বিজেপি তাদের আসন সংখ্যা 18 করে নিয়েছে। আর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই নানা মহলে এই ফল নিয়ে নানা চর্চা শুরু হলেও সরকারের উদ্যোগে চালু হওয়া কোনো সামাজিক প্রকল্পের কাজ বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, আজ রাজ্য সরকারের সদর দপ্তর নবান্নে সমস্ত মন্ত্রী এবং নানা দপ্তরের প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে একটি রিভিউ মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলা উন্নয়নে নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি বলেন, “সামাজিক খাতে নয় গুন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরে 56 কোটি টাকা ঋণ শোধ করে পরিকল্পনা খাতে 8 গুণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিতে 80 শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।” এছাড়াও 2017-18 সালে জিএসটি খাতে 23 শতাংশ আয় বেড়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে আয়োজিত নীতি আয়োগের বৈঠকে তিনি যাবেন না বলে আগে জানিয়ে দিলেও তা নিয়ে নানা মহলে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নীতি আয়োগের কোনো ক্ষমতা নেই। তাই শুধু ভাষণ শোনার জন্য দিল্লি যাব না। আমরা সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা রূপায়ন করছি। এর জন্য আলাদা সেলও করা হয়েছে। মানুষ যদি সমস্ত রকম প্রকল্পের সুবিধা পায়, তার দিকে নজর রাখবে প্রশাসন।”

এদিকে পে কমিশন সম্পর্কে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখনও পর্যন্ত পে কমিশন রিপোর্ট না দেওয়াতেই দেরি হচ্ছে। আমরা এই ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করব।” তবে শুধু রাজ্যের উন্নয়ন প্রসঙ্গেই নয়, দার্জিলিংয়ের কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগদান করায় এদিন গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “দার্জিলিংয়ের কাউন্সিলরদের কারা নেপালে নিয়ে গেল, পাহাড়কে কারা অশান্ত করার চেষ্টা করছে, তার সব আমি জানি। রাজ্যে লোকসভা ভোটের পরেই এই অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করার কাজ শুরু হয়েছে।”

এদিকে বিজেপি সকলকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিলেও তিনি গণতন্ত্রকে বিক্রি হতে দেবেন না বলে এদিন গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে কার্যকর জেহাদ ঘোষনা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে রিভিউ মিটিং শেষে একদিকে উন্নয়ন চালিয়ে যাওয়া, আর অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বার্তা দিয়ে প্রশাসনিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের মাঝে যেন রাজনৈতিক বক্তব্যই বেশি পরিমাণে ফুটে উঠল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!