এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিক্ষোভের আঁচ কি পৌছালো দিল্লি অবধি?নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে এবার অন্য সুর কেন্দ্রীয় মহলে

বিক্ষোভের আঁচ কি পৌছালো দিল্লি অবধি?নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে এবার অন্য সুর কেন্দ্রীয় মহলে


এন আর সি ও সি এ এ এবং এনপিআরের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই দেশের বিরোধী শক্তিগুলি মূলত বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর নাম প্রথম সারিতে আসবে। প্রথম দিন থেকেই তিনি রাজপথে বিরোধিতা করতে নেমেছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিজেপি থেকে রাজ্যের বিজেপি প্রত্যেকেই এনআরসি হবেই বলে এসেছেন এতো দিন। তবে এবার সারাদেশের বিক্ষোভের আঁচকে মাথায় রেখে হঠাৎ করেই বিজেপি নেতৃত্বরা সুর বদল করলেন। সারাদেশের উত্তপ্ত পরিবেশ দেখেই এবার বেশ কিছুটা পিছিয়ে গেল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসি প্রসঙ্গে।

মোদি সরকারের পক্ষ থেকে এদিন এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে বক্তব্য রাখলেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি জানিয়েছেন এনআরসি সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলে কোনোভাবেই চালু করা হবে না। প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব ইস্যুতে যেভাবে গোটা দেশের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে আগুন জ্বলে উঠেছে তাতে রীতিমত ব্যাকফুটে চলে গেছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, এক সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন ‘সারা দেশে এনআরসি হবে।’ সেই দাবি থেকে বহু যোজন দূরে সরে এসে এবার এন পি আর নিয়ে বিজেপি সরকার তার নতুন মন্তব্য পেশ করেছে।

এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, ‘নির্দিষ্ট আইনি পদ্ধতি মেনেই তবে এনআরসি গোটা দেশে লাগু হবে।’ এই ‘নির্দিষ্ট আইনি পদ্ধতি’র মধ্যে প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের এনআরসি নিয়ে আলোচনা পর্বকে উল্লেখ করেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এবার এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার ‘ধীরে চলো নীতি’ অবলম্বন করেছে। সারাদেশে অবিজেপি রাজ্যগুলিতে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় আইন মানা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই তালিকায় দেশের মধ্যে প্রায় 10 টি রাজ্য আছে আর এই 10 টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রীতিমতো আন্দোলন ও প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছেন। একইভাবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়েছেন বিহারের বিজেপি জোট সরকারের নিতিশ কুমার। সম্প্রতি রবিশঙ্কর প্রসাদ সংবাদ মাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যেখানে তিনি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, এনপিআর এবং এনআরসি দুটি এক বিষয় নয়। কোনভাবেই একটি সমীক্ষা দিয়ে দুটি আইন বলবৎ করা হবে না গোটা দেশে।

প্রতিটি বিষয় একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই আইনগুলি সম্পন্ন করতে গেলে প্রথমে সিদ্ধান্ত, তারপর যাচাই, এর পর শুনানি ও আইনের অধিকার নিয়ে একের পর এক পর্ব সম্পন্ন হবে। এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ আরো জানিয়েছেন, এনআরসি একদমই আলাদা বিষয়। শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকত্ব ইস্যু সংক্রান্ত এই বিষয়টি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ভারতীয় মুসলিমদের বলতে চাই যে তাদের ভয়ের কোনো আশঙ্কাই এতে নেই।’

ইতিমধ্যে দেশজুড়ে এনআরসি কার্যকর করা নিয়ে যে বিলটি পাস হয়েছে, তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, সারা দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। দেশের প্রতিটি জায়গায় বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন অবিজেপি রাজ্যের মন্ত্রীরা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং প্রস্তাবিত নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে কেন্দ্রীয় মহলে। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!