এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নামেই তল্লাশি, মন্ত্রীর বাড়িতে ঘুমোচ্ছে ইডি! ফের মিথ্যাচার অভিষেকের? কড়া পদক্ষেপের দাবি বিরোধীদের!

নামেই তল্লাশি, মন্ত্রীর বাড়িতে ঘুমোচ্ছে ইডি! ফের মিথ্যাচার অভিষেকের? কড়া পদক্ষেপের দাবি বিরোধীদের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পৌর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে খাদ্য মন্ত্রীর বাড়িতে দীর্ঘ সময় তল্লাশি করার পর রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি মদন মিত্রের বাড়িতেও পৌঁছে  যায় তারা। এমন একটা ভাব, তাদের দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। তাই তারা দেখাতে শুরু করেছে, তারা অনেক কিছু করছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দিনের শেষে সেই নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সিবিআই আধিকারিকরা নিজেদের রাস্তা ধরছেন। যাই হোক, এই নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা অসন্তুষ্ট বোধ রয়েছে। কিন্তু এসবের মাঝেই তৃণমূলের যুবরাজ এই সিবিআই, ইডির অভিযান নিয়ে একটা বিস্ফোরক তথ্য দিলেন। আর তা নিয়েই নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। অনেকে বলছেন, যে তথ্য যুবরাজ দিয়েছেন, তা কি সত্যি? যদি তা সত্যিই হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আবার অনেকে বলছেন, সম্পূর্ণটাই মিথ্যে বলছেন বাংলার যুবরাজ। তবে যদি তিনি মিথ্যে বলেই থাকেন, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ে তার এই মিথ্যাচারের জন্য কেন তাকে শাস্তি দেওয়া হবে না? এই প্রশ্নই তুলছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি নিয়ে ধর্ণা মঞ্চ থেকেই মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রথীনদার বাড়িতে দীর্ঘক্ষন তল্লাশি করেছে। আমি রথীনদাকে জিজ্ঞেস করলাম, রথীনদা এতক্ষণ কি করলো? বলছে, আমার খাটে ঘুমোচ্ছিল। আমি বললাম, সে কি! কি বলেন! বলছে, হ্যাঁ। সময় তো কাটাতে হবে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা আমার বাড়িতে এসে ঘুমোচ্ছিল।” আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মানুষের চোখের জল নিয়ে কেন খেলছে? সত্যিই যদি মন্ত্রীর বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির নামে সময় কাটানোর চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, তাহলে এই পর্দা অবিলম্বে ফাঁস করা উচিত। আদালতে গিয়ে গোটা বিষয়ে প্রকাশ্যে আনা উচিত বাংলার যুবরাজের। কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিষেকবাবুর এই মন্তব্যের পর অনেকে বলছেন, তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজন এই সমস্ত বক্তব্য। তাই এবার অভিষেক বাবুকেও এই তদন্তে যুক্ত করা হোক।

তবে বিরোধীরা অবশ্য বাংলার যুবরাজের এই ধরনের বক্তব্যকে মানতে নারাজ। তারা পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দাবি, সত্যিই যে ইডি আধিকারিকরা মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির নামে সময় নষ্ট করেছে, তার প্রমাণ কি দিতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? মুখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। এত বড় দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চলছে, কিন্তু সেইখানে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা ঘুমোচ্ছেন, এটা কি আদৌ বিশ্বাস করা যায়! এই কথা কি খাদ্যমন্ত্রী তাকে বলেছেন? নাকি তার নিজের মুখের কথা? তদন্তের ক্ষেত্রে তো এবার তাকে এই বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরা উচিত। আর তখনই তো দুধ এবং জল আলাদা হয়ে যাবে। কিন্তু তা করার মত হিম্মত বাংলার যুবরাজের আছে তো? শুধুমাত্র মিথ্যাচার করে তিনি পালিয়ে যাবেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তল্লাশির নাম করে মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ঘুমোচ্ছে বলে তাদেরকে অ্যাটাক করবেন, এসব চলবে না। তদন্ত তদন্তের মতো করে এগিয়ে যাবে। তবে যুবরাজকে এই মন্তব্যের ব্যাখা দিতে হবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য সত্যি হয়, তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক এজেন্সির বিরুদ্ধে। তবে সবার আগে তো অভিষেকবাবুকে এই বক্তব্যের সত্য বা মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ দিতে হবে। তার জন্য তাকে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। হয় তিনি সত্যি বলছেন, না হলে তিনি মিথ্যা বলছেন। তিনি সরল গতিতে একটা কথা বলে দেবেন, আর তিনি তদন্তের আওতায় পড়বেন না, এটা তো হতে পারে না। কারণ এই পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহু শিক্ষিত বেকারদের চোখের জল রয়েছে। তাই তাদের চোখের জল যদি আদালত মোছাতে চায়, তাহলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে ঢিলেঢালা গতিতে তদন্ত করছে, যে কথা অভিষেক বাবু বললেন, তার তদন্ত হওয়া উচিত। তাই এক্ষেত্রে অভিষেকবাবু যেহেতু গোপন কথাটা ফাঁস করে দিয়েছেন, তাই তাকেই আদালতের সবার আগে ডাকা প্রয়োজন। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!