এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনও ব্যক্তির ছিল না। ‘ ফের একবার তৃণমূলকে বিঁধলেন শুভেন্দু

‘নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনও ব্যক্তির ছিল না। ‘ ফের একবার তৃণমূলকে বিঁধলেন শুভেন্দু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ হলদিয়া থেকে একাধিক বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি নাম না করেও মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসকদল তৃণমূলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের ফিরিয়ে আনার ডাক দিলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে অফ দা পার্টি, বাই পার্টি চলছে। তিনি জানালেন নন্দীগ্রামের আন্দোলন কোন ব্যক্তির আন্দোলন ছিল না। তাঁর নানা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রাজনীতির মহলে শোরগোল ফেলে দিলেন তিনি। আবার, এর সঙ্গেই আগামী উনিশে ডিসেম্বর তাঁর বিজেপিতে যোগদানের খবর পাওয়া গেল।

আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্তর জন্মদিন পালন উপলক্ষে হলদিয়াতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বারবার বহিরাগত বলে আক্রমণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আজ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করেও তার জবাব দিতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারিকে। তিনি জানালেন যে, স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্তকে দেখলে জহরলাল নেহেরু উঠে দাঁড়াতেন। সতীশ সামন্ত কখনোই জহরলাল নেহেরুকে বহিরাগত বলে মনে করতেন না। এরপর তিনি জানালেন যে, প্রথমে আমরা ভারতীয়, তারপর আমরা বাঙালি।

শুভেন্দু অধিকারী আজ নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে তুলনা করলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়কালের তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠনের সঙ্গে। তিনি জানালেন যে, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোন ব্যক্তির ছিলনা, কোন দলের ছিল না, যা ছিল মানুষের আন্দোলন। তিনি জানালেন, তাম্রলিপ্তের ইতিহাস যদি কেউ পড়ে থাকেন, তাহলে তিনি জানতে পারবেন যে, ইংরেজদের বিরুদ্ধে মানুষ জাতীয় সরকার গড়তে যে আন্দোলন করেছিলেন, তার একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ ছিল এই নন্দীগ্রাম আন্দোলন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুভেন্দু অধিকারী আরও জানিয়েছেন যে, ভালো কাজের জন্য লড়াই করবেন তাঁরা। দেশমাতৃকার বন্দনা করবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করবেন তাঁরা। কৃষকদের অধিকার নিয়ে, বাংলার গণতন্ত্রকে ফেরাবার জন্য লড়বেন তিনি। তিনি আরও জানালেন, ” পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরাতে হবে, কেন ফর দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি ব্যবস্থা থাকবে? ”

প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী আরো জানালেন যে, তাঁর কোনো পদের লোভ নেই। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেও লোকসমাগম হয় তাঁর সভাতে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, তিনি কোন পদের লোভ করেন না। কেউ কেউ তাঁকে বলেছিলেন যে, তিনি পদ দেখিয়ে লোক আনছেন। কিন্তু তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবার পরও তাঁর সভাতে মানুষ আসছেন। তিনি জানালেন, যারা তাঁর সভায় আসছেন, তাদের তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএমের পদে যারা আছেন তাঁরা আনেননি। তাঁদের সঙ্গে তাঁর আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!