এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নন্দীগ্রাম থাকবে কার দখলে? চলছে তৃণমূল ও বিজেপির দড়ি টানাটানি

নন্দীগ্রাম থাকবে কার দখলে? চলছে তৃণমূল ও বিজেপির দড়ি টানাটানি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার সাথে সাথেই রাজনৈতিক মহলে প্রবল আলোচনা শুরু হয়েছিল নন্দীগ্রাম নিয়ে। কারণ বরাবরই শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামকে তার গড় হিসাবে দাবী করে এসেছেন। পরোক্ষে নন্দীগ্রামের ভোট শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের ভোটবাক্সেই যেত। শুভেন্দু অধিকারী দল পরিবর্তন করার সাথে সাথে তাঁর গড়ের ভোটব্যাঙ্কও যে পরিবর্তন হয়ে যাবে সে কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু একুশের বিধানসভার নির্বাচনে নন্দীগ্রাম শুভেন্দু অধিকারীর সাথে যাবে নাকি তৃণমূলের সাথেই থাকবে তা নিয়ে উঠেছে বড়োসড়ো প্রশ্নচিহ্ন।

তৃণমূল ছাড়লেও শুভেন্দু কিন্তু নন্দীগ্রামের অধিকার ছাড়তে মোটেই রাজি নন। আর তাই নিয়েই চলছে চাপানউতোর। গত 7 জানুয়ারি নন্দীগ্রামের মাটিতে তৃণমূলের সভা করার কথা ছিল তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জ্জীর। কিন্তু সে সময় তৃণমূল নেতা অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বদলে যায় সভার দিন। যথারীতি শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর আগে নন্দীগ্রামের সভা করেন এবং যথারীতি নন্দীগ্রামের আকাশ-বাতাস মুখরিত হয় জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে। কিন্তু জানা গিয়েছে, আগামী 18 জানুয়ারি নন্দীগ্রামে তৃণমূল সভা করতে চলেছে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিলেন, আগামী উনিশে জানুয়ারি খেজুরিতে আবার পাল্টা সভা করবে বিজেপি।

নন্দীগ্রাম-খেজুরি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল বাম জমানায়। আবার দীর্ঘ 10 বছর পরে নন্দীগ্রাম, খেজুরি রাজনৈতিক আলোচনায় উঠে এলো তৃণমূল, বিজেপির টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম দিবস ছিল। সেদিন দিনভর রাজনীতিতে নন্দীগ্রামকে নিয়ে চলে রাজনৈতিক তরজা। আর শুক্রবার নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ বিজেপির সভা মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে একের পর এক আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, যে মুকুল রায় বাম জমানায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন, এদিন বিজেপি মঞ্চে বসেই মুকুল রায় পুরোপুরি অন্য সুরে কথা বললেন। তিনি জানালেন, সিঙ্গুর আন্দোলন ভুল হয়েছিল এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে টাটাদের আবার রাজ্যে নিয়ে আসার কথা বলবেন তিনি। অন্যদিকে আজকের নন্দীগ্রামের সভায় কিছুটা তাল কাটে গেরুয়া শিবিরের যখন সভাস্থলে বসা নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।

স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীমায় এদিন নন্দীগ্রামের সভা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি সভাপতি এদিন দলবদল নিয়ে কটাক্ষ করেন তৃণমূলকে। সব মিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতোর যে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম যে অন্যতম রাজনৈতিক পীঠস্হান হয়ে দাঁড়াবে দুই যুযুধান শিবিরের কাছে, সে কথা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!