দুর্নীতি রুখতে নতুন আইন রাজ্য সরকারের, জেনে নিন বিস্তারিত কলকাতা রাজ্য July 11, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস খুব একটা ভালো ফল করতে পারেনি। 42 টা আসনের মধ্যে 22 টা আসন দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। আর তারপরই দলের এই খারাপ ফলাফলের কারণ হিসেবে পর্যালোচনা বৈঠকে দুর্নীতিই যে প্রধান কারণ, তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আর তারপরই গত 18 জুন নজরুল মঞ্চে দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে কেউ কাটমানি খেলে তা তাকেই ফেরত দিতে হবে বলে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। আর এরপরই দিকে দিকে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের ঘিরে টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে সাধারণ মানুষ। যার ফলে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। বিরোধীদের পক্ষ থেকেও এই ব্যাপারে শাসকদলকে চেপে ধরা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই দুর্নীতি এবং কাটমানি রুখতে নতুন নির্দেশিকা নিয়ে এল রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। জানা গেছে, এবার থেকে টেন্ডার ছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো আর কোনো জিনিস কিনতে পারবেন না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মূলত এতদিন পর্যন্ত চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়াররা অনুমোদন দিতে পারতেন। কিন্তু নতুন নির্দেশিকায় সেই নিয়ম তুলে দিয়ে সমস্ত প্রক্রিয়াটি টেন্ডারের মাধ্যমেই করার নির্দেশ দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, এর জন্য সিকিওর নামে একটি নতুন সফটওয়্যার তৈরি করে জিনিস কেনার পর তার সমস্ত বিবরণ সেই সফটওয়্যারে আপলোড করার কথাও জানানো হয়েছে। বস্তুত, নির্বাচনের ফলাফল খারাপ হয়ে যাওয়ার পরই রাজ্য সরকারের প্রতিটি প্রকল্প থেকেই কাটমানি নেওয়া হচ্ছে বলে প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শাসক দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, একেই বলে ক্ষমতা। দলমত নির্বিশেষে যিনি সমস্ত কিছুর উর্ধে উঠে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস দেখিয়েছেন। তবে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কাটমানি নিয়ে হুঁশিয়ারির পর যেভাবে প্রকাশ্যে তৃণমূলের নেতাদেরই অভিযুক্ত হতে দেখা গেছে, তাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। আর এবার দুর্নীতি এবং কাটমানি রুখতে টেন্ডার ছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো আর কোনো কিছু কিনতে পারবে না বলেই নিচুতলার দুর্নীতি বন্ধ করার চেষ্টা করল রাজ্য বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -