এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > নয়া সমীকরণ? শুভেন্দু বিজেপিতে যেতেই বিজেপি ছেড়ে দলে দলে প্রাক্তন কমরেডরা ফিরছেন বামফ্রন্টে?

নয়া সমীকরণ? শুভেন্দু বিজেপিতে যেতেই বিজেপি ছেড়ে দলে দলে প্রাক্তন কমরেডরা ফিরছেন বামফ্রন্টে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2011 সালে প্রথম বাম জমানার পতন ঘটে তৃণমূলের হাতে। তারপর থেকেই বামেদের দাবি অনুযায়ী শুরু হয় তাঁদের ওপর তৃণমূলী হামলা। বাঁচার জন্য বাম শিবিরের অনেকেই সেসময় যোগ দেন গিয়ে গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু রাজনীতির অলিন্দে দলবদল কিন্তু খুব স্বাভাবিক ঘটনা বলেই ধরে নেওয়া হয়। আর সেই অনুযায়ী একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পালাবদলের উদ্দেশ্যে গেরুয়া শিবির এবার উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে একের পর এক নেতা, সাংসদ, বিধায়ক গিয়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে আর তারপরেই শুরু হয়েছে আবারও এক রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।

সম্প্রতি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। একসময় তিনি ছিলেন তৃণমূলের অন্যতম নেতা। বিরোধী বাম শিবিরের দাবী, বাম জমানার পরে তৃণমূল নেতার শুভেন্দু অধিকারীর কলকাঠিতে অনেক নেতাই পড়েছিলেন বিপাকে। আর এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে আসায় দলে দলে তৎকালীন বাম জমানার কর্মীরা যারা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে এবার তাঁরাই আবার ফিরছেন লাল পার্টিতে। খেজুরি, নন্দীগ্রাম, পটাশপুর, ভগবানপুরসহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এরকম ঘটনা ঘটছে। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুর পার্টির সদস্য পদ থাকা বহু কমরেড হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিজেপির ঝান্ডা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যথারীতি লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভার কেন্দ্রে তৃণমূল শিবির যথেষ্ট কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছিল বিজেপির কাছে। 2016 বিধানসভা নির্বাচনের পর একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল হাজার হাজার সিপিএম কর্মী। তাঁরা তখন যোগ দিয়েছিলেন গিয়ে বিজেপিতে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে খেজুরি বিধানসভা থেকে মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল তৃণমূল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির ভোট ব্যাংক ভরিয়ে তুলেছিল সেইসময় একচেটিয়া সিপিএম ভোট। কিন্তু বিজেপি সিপিএমকে সামনে রেখে লড়াই শুরু করেছিল। তাঁরাই কিন্তু এবার দলে দলে ফিরে আসছেন নিজেদের শিবিরে।

ইতিমধ্যেই খেজুরি, কামারদা, বাঁশগোড়াসহ বেশ কয়েকটি পার্টি অফিস দখল নিয়ে নেয় সিপিএম- যেগুলি বিজেপি পার্টি অফিস হিসেবেই পরিচিত ছিল এলাকায়। এই নিয়ে বিজেপি এবং সিপিএম এর মধ্যে শুরু হয়েছে চাপান উতোর। শোনা যাচ্ছে নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর এবং পটাশপুর এলাকাতেও একই ঘটনা ঘটছে। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় যেসব সিপিএম কর্মীরা একসময় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে, তাঁরাই আর থাকতে চাইছেন না গেরুয়া শিবিরে শুভেন্দুর আগমনে। এ প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হিমাংশু দাস জানিয়েছেন, দলে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা ঘটছে।

যারা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ভুল বুঝতে পেরে নিজেদের দলে ফিরে আসছেন। তবে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী এই ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে, সে জায়গায় কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট বেঁধে নেমেছে লড়াইয়ে। এবং শোনা যাচ্ছে, শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ায় পুরনো শত্রুর সাথে মিলে লড়াই করতে আগ্রহী নয় বামশিবির থেকে আগত কর্মীরা। আর সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবির ছেড়ে বাম কর্মীদের প্রত্যাবর্তন স্বাভাবিকভাবেই বামেদের কাছে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের যোগান দেবে। এখন দেখার, তৃণমূল, বিজেপিকে টক্কর দিতে বাম কর্মীরা কতটা জোরদার প্রস্তুতি নিতে পারেন!

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!