এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “প্রকৃতিপ্রেমিক” মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গার কোলে নেতাজির নামে তৈরী ভবিষ্যতের পর্যটন কেন্দ্র

“প্রকৃতিপ্রেমিক” মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গার কোলে নেতাজির নামে তৈরী ভবিষ্যতের পর্যটন কেন্দ্র


ফের শহরের বুকে নিজের প্রকৃতিপ্রেমিক সত্তা প্রকাশ করে জনসাধারণের জন্য বিশেষ উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, পুজালী পৌরসভা থেকে ৭০০ মিটার দূরে ২ নম্বর ওয়ার্ডের বালিঘাটের গঙ্গা ঘেঁষে থাকা সাড়ে ১০ বিঘা জমির ওপর একটি পর্যটন কেন্দ্র এবং একটি পার্ক স্থাপন করা হয়।

আর সরকারের তরফ থেকে নির্মিত এই পার্ককে ঘিরে যেন অপূর্ব এক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছেন সাধারন মানুষ। দুহাত দূরে গঙ্গা, তার উপর ডিঙ্গি ও দাঁড় টানা নৌকা সঙ্গে মাছ ধরা। একইসঙ্গে বকুল, বট, অশ্বত্থ, নারকেল, সুপারি, খেজুর, ছাতিমের ছায়া – সৌন্দর্যের সমহারে এক অভূতপূর্ব পর্যটন কেন্দ্রে নেতাজি নামাঙ্কিত এক বিশাল পার্কের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

জানা গেছে, এই পুজালী পৌরসভার পিকনিক স্পটে একসঙ্গে অন্তত এক হাজার মানুষ চড়ুইভাতি করতে পারবেন। তবে শুধু পিকনিক স্পটই নয়, উত্তর গঙ্গার দিকে মুখ করে সাতটি কটেজ তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি ঘরের ভাড়া রাখা হয়েছে মাথাপিছু আড়াই হাজার টাকা করে।

এদিকে এখানে থাকার জন্য কমন বাথরুম, রান্নার ঘর, রান্নার গ্যাস এবং ক্যাটারিংয়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে তার জন্য দিতে হবে আলাদা ভাড়া। অন্যদিকে এখানে যে সমস্ত ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা আসবেন তাদের মনোরঞ্জনের জন্য এই কটেজগুলির সামনে ও পেছনে সবুজে ঘেরা গাছপালাও পরিবেষ্টিত করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি দোলনা এবং নানা বসার জায়গারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, গতকাল দুপুরে এই বিশাল পার্কের উদ্বোধন করে কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পুজালির এই পার্কটি রাজ্যের মধ্যে সেরা। এর সঙ্গে কোনো তুলনা করা যায় না”। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে একজন প্রকৃত প্রকৃতিপ্রেমীক তা তাঁর এই উদ্যোগ থেকেই বোঝা যায় বলে এদিন মুখ্যমন্ত্রীরও ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে এই পার্কের মত মনোরঞ্জনমূলক জায়গায় তাঁর একা সময় কাটানোর ইচ্ছাও রয়েছে বলে এদিন জানান কলকাতার নবনিযুক্ত মেয়র। এদিকে এদিনের এই অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকেও প্রবল কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “একদল লোক এসে মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরি করে দিচ্ছে। ধর্ম শিখতে হলে রামকৃষ্ণের কাছ থেকে শেখা উচিত। একজন মোটা লোকের কাছ থেকে আমরা ধর্ম শিখতে রাজি নই”।

এদিকে এদিনের এই পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও ফের শাসকদলের মতানৈক্যই প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছেন অনেকে। দেখা গেছে, এদিনের এই অনুষ্ঠানে পুরসভার চেয়ারম্যান রিতা পাল, বজবজ পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত ও বজবজের বিধায়ক উপস্থিত থাকলেও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন পুজালী পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও তাঁর অনুগত একাধিক কাউন্সিলররা।

কেন ভাইস চেয়ারম্যান বা অন্যান্য কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকলেন তা নিয়েই এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। একাংশের মতে, পুজালী পৌরসভা চেয়ারম্যানের সঙ্গে সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে মতবিরোধ চলছে এখানকার ভাইস চেয়ারম্যানের। আর তাই এই পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত থাকলেন ভাইস চেয়ারম্যান।

কিন্তু, যেখানে খোদ রাজ্যের পুর মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র উপস্থিত, সেখানে এই পুজালী পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফজজুল হক ও অন্যান্য কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতি বিপদ বাড়াবে না? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এখানে যখন পার্কের কাজ শুরু হয় সেই সময় এই পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হকের সঙ্গে এসেছিলাম। শুনলাম উনি অসুস্থ তাই আজকে আসতে পারেননি”।

তবে পুরমন্ত্রী যাই বলুক না কেন পুজালী পৌরসভার এই অনুষ্ঠানে ভাইস চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি দাগ কাটছে অনেকের মনেই। তবে ঘটনাপ্রবাহ যেদিকেই বয়ে যাক, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গার কোলে নেতাজির নামে তৈরি এই পর্যটন কেন্দ্র যে মানুষের মন কাড়বে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!