এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নেতাজীকে নিয়ে সামনে এল নতুন বিতর্ক, জেনে নিন!

নেতাজীকে নিয়ে সামনে এল নতুন বিতর্ক, জেনে নিন!


আবার চরম বিতর্ক তৈরি হল, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং গুমনামি বাবাকে নিয়ে। যার ফলে সেই গুমনামী বাবার দাঁতের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টে উনি নেতাজি হতে পারেন না বলে যে সিদ্ধান্ত সামনে এসেছিল, তা ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কি নিয়ে এই বিতর্ক তৈরি হল! জানা গেছে, সম্প্রতি কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির তরফে দেওয়া একটি আরটিআই জবাবকে কেন্দ্র করেই এই সমস্ত বিতর্কের সূত্রপাত।

মূলত ডিএনএ কেন্দ্রিক সত্য যাচাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্ট তাদের কাছে নেই বলে জানিয়ে দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রাধীন এই সংস্থা। অন্যদিকে এই ল্যাবরেটরি থেকেই করা ডিএনএ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে গুমনামি বাবার সঙ্গে নেতাজির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানানো হয়েছিল।

আর বিগত বাজপেয়ী সরকারের সময় গঠিত মুখার্জি কমিশনের সেই তথ্যকে হাতিয়ার করে একই ঘোষণা করতে দেখা গেছে উত্তরপ্রদেশের সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত সহায় কমিশনকেও। কিন্তু দুই কমিশন একই কথা ঘোষণা করলেও, ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্ট নিয়ে এই ধরনের বক্তব্য সামনে আসল কেন, তা নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 19 ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার বিধানসভায় সহায় কমিশনের রিপোর্ট পেশ করেন। আর সেই রিপোর্ট দেখেই তরুণ গবেষক সায়ক সেন জানতে পারেন যে, গুমনামি বাবা এবং নেতাজি এক ব্যক্তি ছিলেন না। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি বিষ্ণু সহায় দুই ব্যক্তির আলাদা হওয়া নিয়ে স্থির সিদ্ধান্তে আসেন। যার পেছনে প্রধান কারন মুখার্জি কমিশনের তথ্য।

এদিকে এই ঘটনার পরেই সায়ক সেন কলকাতার সেই ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষের কাছে আরটিআই করে গুমনামি বাবার দাঁতের ডিএনএ সংক্রান্ত রিপোর্টের কপি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। অন্যদিকে সায়কবাবুর আরটিআইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সেই ল্যাবরেটরি সিপিআইও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাদের কাছে এই ধরনের কোনো রিপোর্ট নেই। আর ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষের তরফে এই ধরনের উত্তর পাওয়ার পরেই এখন নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে নানা প্রশ্নচিহ্ন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ব্যাপারে তরুণ গবেষক সায়ক সেন কেন্দ্রের কাছে সঠিক অবস্থানের ব্যাখ্যা করেছেন।

এদিন তিনি বলেন, “ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম চার্ট সংরক্ষন করা যে কোনো ডিএনএ পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। মাস কয়েক আগে দিল্লিতে একটি কেসে সেই রিপোর্ট সংরক্ষণ না করায় কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরির এক পদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইইর পর্যন্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নেতাজি সংক্রান্ত বিতর্কিত ইস্যুতে রিপোর্ট ল্যাবরেটরীতে না থাকা রীতিমতো রহস্যের।” সব মিলিয়ে এখন কলকাতার ল্যাবরেটরীতে নেতাজি অন্তর্ধান নিয়ে আরটিআইয়ের জবাব ঠিকমত না পাওয়ায় নানা মহলে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!