এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বাংলায় বিজেপির “আচ্ছে দিন” শুরু হলেও “ব্যাটন ছাড়ার” ইঙ্গিতে নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়ালেন হেভিওয়েট নেতা

বাংলায় বিজেপির “আচ্ছে দিন” শুরু হলেও “ব্যাটন ছাড়ার” ইঙ্গিতে নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়ালেন হেভিওয়েট নেতা


এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টার্গেট ছিল বাংলা। আর সেইমতো গণনা বাক্স খোলার সাথে সাথেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সিংহভাগ আসনে হারিয়ে 42 টি আসনের মধ্যে 18 টি আসন নিজেদের দখলে রাখে গেরুয়া শিবির। আর বিজয়ের আনন্দে যখন উত্তাল বঙ্গ বিজেপি, ঠিক তখনই বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর একটি পোস্টে এবার যেন সেই আনন্দ কিছুটা হলেও তাল কাটতে শুরু করল।

প্রসঙ্গত, এবার বসিরহাট কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে দাঁড় করানো হয় সায়ন্তন বসুকে। তবে এই কেন্দ্র থেকে তিনি তার জয় ধরে রাখতে পারেননি। তৃণমূলের কাছে তাকে পরাজিত হতে হয়।

আর এর পরে একটি ফেসবুক পোস্টে সায়ন্তন বসু লেখেন, “দীর্ঘ চেষ্টার পর বাংলায় বিজেপির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। গাড়ি গড়াতে আরম্ভ করেছে। এবার সেই চলমান গাড়িতে আমার জায়গায় কেউ বসতে পারেন। আমার বিশ্বাস বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার আমরা পাব। সেদিন আমার থেকে বেশি কেউ খুশি হবে না। কিন্তু আমি বিজেপির এই রথ থেকে নেমে যেতে চাই।” আর সায়ন্তনবাবুর এহেন পোস্টেই এবার শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।

যে বিজেপি নেতা প্রায়শই তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়তেন, সেই তিনি বিজেপির এই জয়ের দিনে এবং সুদিনের দিনে কেন দলের মূল স্রোত থেকে পিছিয়ে থাকার কথা শোনালেন? তাহলে কি কোনো অভিমানের জেরেই তিনি ফেসবুকে এই পোস্ট করলেন?

দলীয় সূত্রের খবর, সায়ন্তন বসু এবার পুরুলিয়া থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কেননা পুরুলিয়ার পর্যবেক্ষক থাকার দরুন তিনি সেই জেলাটাকে ভালোভাবে চেনেন এবং তার হাত ধরেই পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশ ভালো ফল করেছিল বিজেপি। তাই সেখানেই তাকে প্রার্থী করলে ভালো ফল হবে বলে দাবি করেছিল সায়ন্তনবাবুর অনুগামীদের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু দলের তরফে শেষ পর্যন্ত বসিরহাটের মতো সংখ্যালঘু প্রবণ এলাকায় প্রার্থী করা হয় এই এই সায়ন্তন বসুকে। যার জেরে রাজ্যের সিংহভাগ আসনে বিজেপি জয়লাভ করলেও বসিরহাট কেন্দ্রে হেরে যেতে হয় তাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দলের কাছে বারবার দাবি জানিয়েও পুরুলিয়ার মতো আসন তাকে না দেওয়াতেই এবং বসিরহাটে তাকে প্রার্থী করায় এবং তিনি না জেতায় এবার কিছুটা অভিমানের সুর শোনা গেল বিজেপির সায়ন্তন বসুর গলাতে। তবে রাজ্যে যখন বিজেপি সুদিনের মুখ দেখছে, তখন দুর্দিনে সেই বিজেপির সাথে থাকা সায়ন্তন বসুর মান ভাঙিয়ে এখন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা সায়ন্তন বাবুকে কতটা দলের কাজে লাগাতে পারেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!