তৃণমূলের শহীদ দিবস নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা রাজ্য June 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বছরে কেন্দ্রীয়ভাবে একটিই বড় সমাবেশ করে তৃণমূল কংগ্রেস। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ধর্মতলায় 1993 সালের একুশে জুলাইয়ের ঘটনাকে স্মরণ করে শহীদ দিবস অনুষ্ঠান করা হয়। বলতে গেলে, এটা তৃণমূলের কাছে যেমন শহীদদের সম্মান জানানোর মাধ্যম, ঠিক তেমনই ভবিষ্যতে কোন পথে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা চলবেন, তার বার্তাও এই সভা মঞ্চ থেকে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 2011 সালে তৃনমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর বছর পর বিভিন্ন নির্বাচনে তারা জয়লাভ করলেও, সমস্ত জয় শহীদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে উদযাপন করা হবে বলে জানিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলে সেদিক থেকে তৃণমূলের এই জমকালো শহীদ সমাবেশ করোনা ভাইরাসের কারণে এবার উদযাপন করা হবে কিনা, তা নিয়ে প্রবল জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নামা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল তাদের কেন্দ্রীয়ভাবে বছরে একটি মাত্র সমাবেশ একুশে জুলাই করে কিনা, তার দিকে নজর ছিল গোটা রাজনৈতিক মহলের। অবশেষে এই ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এবার শহীদ দিবস আগের মত করে ধর্মতলায় পালন করা হবে না। করনা লকডাউনের সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে এই বছর আর আগের মতো করে সমাবেশ করা সম্ভব নয়।” তবে একুশে জুলাই নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তারা বৈঠক করবেন এবং সেখানেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত রূপরেখা স্থির করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, তিনি করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘিত হোক, তা চাইছেন না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা যদি তিনি একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ করেন, তাহলে বিরোধীদের পক্ষ থেকেও প্রশ্ন করা হবে, কেন তাদের প্রকাশ্য সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না! ফলে রাজ্যের শাসক দল অনেকটাই চাপে পড়বে। তাই এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুটা হলেও শহীদ দিবসের সমাবেশকে সামাজিক দূরত্ব পালন করে করার জন্য দলকে বার্তা দেবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই শহীদ দিবস না করার পেছনে যেমন কিছুটা সুবিধা রয়েছে, তেমন কিছুটা অসুবিধাও রয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, বছর পেরোলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের কাছে ক্ষমতায় থাকতে এটা শেষ শহীদ সমাবেশ। অর্থ্যাৎ 2021 সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে কিনা, তা নির্বাচনের ফলাফল বলবে। কিন্তু তার আগে দলের সমস্ত কর্মীদের মুখোমুখি বার্তা দেওয়ার শেষ সুযোগ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই শহীদ সমাবেশের মঞ্চ। কিন্তু যদি তা না হয়, তাহলে তৃণমূলের অনেক কর্মীরাই মুষড়ে পড়বেন। যার ফলে তাঁদের উজ্জীবিত করা অনেকটাই অসুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই শহীদ সমাবেশ না করার মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে অনেকটাই বেড়ে যাবে। কেননা তিনি তাহলে প্রকাশ্যে বলতে পারবেন যে, তিনি তার দলের সমাবেশ বাতিল করে দিয়েছেন মানুষের স্বার্থে। সেদিক থেকে তৃণমূল জনসাধারণের কাছে অনেকটাই গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন শেষ পর্যন্ত শহীদ সমাবেশের ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য থেকে কিছুটা আভাস পাওয়া গেলেও, কিভাবে তিনি এই একুশে জুলাই পালন করেন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -