এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নতুন নেতারা দায়িত্ব পেলেও ক্ষমতা আসলে কি পুরোনোদের হাতেই? বড়সড় প্রশ্ন তৃণমূলের অন্দরেই!

নতুন নেতারা দায়িত্ব পেলেও ক্ষমতা আসলে কি পুরোনোদের হাতেই? বড়সড় প্রশ্ন তৃণমূলের অন্দরেই!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তিনি না আছেন জেলা সংগঠনের কোনো দায়িত্বে, না আছেন জেলাতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার প্রভাব যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এখনও বিদ্যমান, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। কিছুদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংগঠনে পরিবর্তন আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠা অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে দায়িত্ব দেন গৌতম দাসের উপর। স্বাভাবিক ভাবেই অর্পিতা দেবীকে জেলার সংগঠনের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাকে রাজ্যের সমন্বয় কমিটির সদস্য করা হয়।

একপ্রকার সকলেই মনে করে নিয়েছিলেন, যেহেতু নতুন করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংগঠনকে সাজানো হল, সেহেতু এবার অর্পিতাদেবীকে আর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংগঠনে নাক গলাতে দেওয়া হবে না। কিত অপ্রিয় সত্য হলেও এ কথা অত্যন্ত সত্য যে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নতুন কমিটি গঠনের জন্য উদ্যোগী হয়েছেন নয়া জেলা সভাপতি গৌতম দাস।

কিন্তু রাজ্যের সমন্বয় কমিটিতে রয়েছেন অর্পিতা ঘোষ। তাই সেই সমন্বয় কমিটির অনুমোদনের পরেই জেলা কমিটি গঠনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফলে সেই সমন্বয় কমিটিতে থাকা অর্পিতা ঘোষের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে নিয়ে যে কিছুটা হলেও মতামত থাকবে, এই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। তাই অর্পিতা ঘোষের বাইরে গিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সংগঠন পরিচালনা যে আপাতত বিশবাঁও জলে, সেই ব্যাপারে কার্যত আত্মপ্রত্যয়ী অর্পিতাদেবীর অনুগামীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, সোমবার জেলা কমিটি তৈরি করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তা কলকাতায় তৃণমূল ভবনে জমা করা হয়। আশা করা হয়েছিল, দুই চার দিনের মধ্যেই কমিটি ঘোষণা হবে। কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত তার ঘোষণা হয়নি। জেলা কমিটি গঠন না হওয়া কর্মী-সমর্থকরা কিছুটা হলেও বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে সমন্বয় কমিটিতে থাকা অর্পিতা ঘোষ এই নতুন জেলা কমিটি নিয়ে কি প্রতিক্রিয়া দেবেন, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি জেলা থেকে তিনি চলে গেলেও রাজ্যের সমন্বয় কমিটিতে থাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংগঠনের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও তার মতামত থাকবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, “কমিটিগুলো নিয়ে রাজ্য সমন্বয় কমিটির জেলা নেতৃত্বদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে, কে কমিটিতে থাকবে, আর কে থাকবে না। এমনটাই রাজ্যের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” অনেকে বলছেন, ইতিমধ্যেই অর্পিতা ঘোষের অনেক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার করার ব্যাপারে রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন নতুন জেলা সভাপতি গৌতম দাস। ফলে অর্পিতা ঘোষ যদি সংগঠনের রাজ্য সমন্বয় কমিটি থেকে জেলা কমিটি গঠনের ব্যাপারে কোনরূপ বার্তা দেন, তাহলে তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাঁচানোর জন্য তিনি চেষ্টা করবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যার ফলে গৌতম দাস সভাপতি থাকলেও, অর্পিতা ঘোষের একটা প্রভাব যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। যদিও বা এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “রাজ্য অনুমোদন দিলে আমরা সেই কমিটিকে নিয়ে কাজ শুরু করে দেব। যতদূর শুনেছি দক্ষিণ দিনাজপুরের সঙ্গে আরও কয়েকটি জেলার কমিটি ঘোষণা বাকি আছে। সব একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে।” সব মিলিয়ে জেলার সংগঠনে তিনি না থাকলেও, রাজ্য থেকে এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্পিতা ঘোষের ভূমিকা কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!