এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > হাওড়াতে বিরোধী-শূন্যের প্রচেষ্টায় শাসকদল, সিপিএমকে সংগে নিয়ে পাল্টা প্রতিরোধের পথে বিজেপি

হাওড়াতে বিরোধী-শূন্যের প্রচেষ্টায় শাসকদল, সিপিএমকে সংগে নিয়ে পাল্টা প্রতিরোধের পথে বিজেপি


“নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।” বাংলা তথা ভারতের সামাজিক বৈচিত্রকে অক্ষুন্ন রাখতে কবি এই কথা বলে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতা দখলে এখন নীতি আদর্শ ভুলে সেই মিলনেরই দোহাই দিচ্ছে। যেমন হাওড়া জেলা। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে এই জেলায় যেমন কোথাও বিরোধীকে রুখতে সেই বিরোধীদেরই শাসক শিবিরে যোগদান আবার কোথাও বা বিরোধীর সাথে বিরোধীদের সমঝোতায় আটকে দেওয়া সেই শাসক শিবিরকেই।

সূত্রের খবর, এই জেলার পাচলা ব্লকের 15 আসনবিশিষ্ট পোলগুস্তিয়া পঞ্চায়েতে এবার তৃনমূল 10 এবং বিজেপি পাঁচটি আসন পায়। কিন্তু গত সোমবারই পোলগুস্তিয়ায় তৃনমূলের এক জনসভায় সেই শাসকদলে যোগদান করেন বিজেপির পাঁচজনের মধ্যে চারজন জয়ী সদস্য।  তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃনমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায়।

পরে অরূপ রায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বাংলার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই বিরোধী দলের সদস্যরা আমাদের দলে যোগদান করছেন।” পাশাপাশি জেলায় বিরোধী দলের আরও অনেক সদস্যই যে তৃনমূলে যোগ দেবেন সেই ব্যাপারে আশাবাদী জেলা তৃনমূলের সভাপতি। তবে তাঁদের দলীয় সদস্যরা শাসকদলে যোগ দিয়েছ এমন খবর তার জানা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপম মল্লিক।

এদিকে পোলগুস্তিয়ায় যখন ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাচ্ছে পদ্ম শিবিরের সদস্যরা ঠিক তখনই উলুবেড়িয়া 1 ব্লকের চন্ডীপুরে শাসককে আটকাতে এক হচ্ছে বাম এবং বিজেপি। সূত্রের খবর, 22 আসনবিশিষ্ট এই চন্ডীপুরে এবার তৃনমূল 11, বিজেপি 9 এবং সিপিএম 2 টি আসন পায়। এখন সিপিএমের দুই সদস্যকে দলে টানতে মরিয়া বিজেপি। যদি এইখানে সিপিএমের সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন শাসক ও বিরোধীদের আসনসংখ্যা সমান হবে। ফলে তখন টাই করেই বোর্ড গঠন করতে হবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু কদিন আগেই যে বামেদের উঠতে বসতে কটাক্ষ করত বিজেপি তাদের সথেই জোট আদৌ কি সমীচীন? এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, “সিপিএম ও বিজেপি সদস্যদের তো তৃনমূল ভাঙাচ্ছে। তখন দোষ হচ্ছে না, আর আমরা করলেই যতদোষ?” অন্যদিকে এই বাম বিজেপি জোট নিয়ে জেলা তৃনমূলের (গ্রামীন) সভাপতি পুলক রায় বলেন, “বিজেপি আর সিপিএমের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই ওরা নীতিহীন রাজনীতিতে নেমেছে।” সব মিলিয়ে ক্ষমতাকে নিজের হাতে রাখতে এখন শাসক বিরোধী সবই এককার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!