এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশের পরবর্তী প্রধামনন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বলছেন?

দেশের পরবর্তী প্রধামনন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বলছেন?


বর্তমানে তিনি অবিজেপি জোটের অন্যতম প্রধান মুখ। তাঁর পদচিহ্ন অনুসরণ করেই আগামী লোকসভা ভোটে মোদীসরকারকে কেন্দ্র থেকে হটানোর পরিকল্পনা বিরোধীদের। এতে সন্দেহ নেই কোনো। তবে রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে যে প্রশ্নটা বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সম্প্রতি, সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি আগামী দিন দেশের রাশ নিজের হাতে নিতে চলেছেন? তিনিই কি মোদীজির চ্যালেঞ্জার? এ নিয়ে তীব্র জল্পনা রয়েছে আমজনতার মধ্যেও।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

এ প্রসঙ্গে,কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীত্ব তাঁর কাছে মুখ্য বিষয় নয়। তার থেকে বেশি গুরুত্বের বিজেপি-আরএসএস-এর কবল থেকে দেশকে রক্ষা করা। আর এটা করতে গিয়ে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মায়াবতীকে প্রধানমন্ত্রী পদের স্বীকার করে নিতে হয়,তাতে কোনো আপত্তি নেই তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাকে জানিয়েছিলেন,প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবে,তা নিয়ে পরে বিবেচনা করা হবে। আগে সম্মিলিত ভাবে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করা দরকার। একক নেতৃত্বে এটা সম্ভব নয়। তাই জোট গড়ে যৌথ নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ নেত্রীর বরাবরই।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই ছাত্রছাত্রীদের সম্মুখে একই প্রশ্ন আসলো তাঁর কাছে। নেত্রী কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই সাফ কথায় জানিয়ে দিলেন,সামনের সারির বদলে পিছনের সারিতে থেকে মানুষের সেবা করতেই তিনি বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন। কাঠবেড়ালির মতো পিছনে থেকে সেতুবন্ধনের কাজ করে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে যাবার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রাখারই ইচ্ছে তাঁর। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানালেন যে,রেলমন্ত্রী থাকার সময়ও তিনি পেছনের সারিতেই বসতেন। তাঁর একটা লক্ষ্যই বরাবরই স্পষ্ট,যে তিনি মানুষের পাশে মানুষের হয়ে কাজ করে যাবেন। এর বিনিময়ে তাঁর কোনো দাবীদাওয়া নেই , নেই কোনো উচ্চস্তরের পদের প্রলোভন।

১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য বেশ গুরুত্বসহকারে বিচার করে দেখেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। নেত্রীর অনুরাগীরা যতোই তাকে জাতীয় রাজনীতির কুর্সিতে দেখার ইচ্ছা রাখুক না কেন,তিনি আসলে নিজেকে নিয়ে উচ্চাকাঙ্খী নন,না রাখতে চান নিজেকে প্রথম সারিতে। প্রয়োজনের সামনে অন্য কাউকে এগিয়ে দিয়ে কিং-মেকারের ভূমিকাও নিতে পারেন বলে এদিন ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!