প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সকাল থেকেই নজর ছিল কুণাল ঘোষের ওপরে। কুণাল ঘোষকে  হাজিরা দিতে হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দপ্তরে। সূত্রের খবর, সারদা-কাণ্ডে বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে। আর তাই নিয়েই নতুন করে জেরার মুখোমুখি কুণাল ঘোষ। প্রায় 7 ঘন্টা ধরে ম্যারাথন জেরা চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন সকাল সাড়ে দশটায় ইডির অফিসে ঢোকেন কুণাল এবং বিকেল পৌনে ছটা নাগাদ সেখান থেকে বের হন। খুব স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিকদের প্রবল কৌতুহল তৈরী হয় গোয়েন্দারা কি কি প্রশ্ন করেছেন কুণাল ঘোষকে? নতুন কি তথ্য গোয়েন্দা দফতরের হাতে এসেছে তাই নিয়ে।

কুণাল ঘোষ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন এবং জানিয়ে দেন, নীতিগতভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ঠিক হবেনা। পাশাপাশি তিনি সারদাকাণ্ডের তদন্তে বরাবর যে সহযোগিতা করে এসেছেন এবং এখনও করবেন সে কথাও বলেন। একই সাথে তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে তিনি আরো একবার জেরার মুখোমুখি হবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের। অন্যদিকে তদন্কারীদের নিয়ে কুণাল ঘোষ কোন অভিযোগ করেননি। সেক্ষেত্রে কুনাল ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন, গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে তিনি সুদীপ্ত সেনের একটি চিঠি তুলে দিয়েছেন। সেই চিঠিতে যাদের নাম রয়েছে তাঁদেরও জেরা করার দাবি জানান তিনি। অন্যদিকে কুনাল ঘোষ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে গতি আশায় নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন।

শুধুমাত্র তাঁকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার জন্য যদি চাপ সৃষ্টি হয়, তাহলে তিনিও পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। কিছুদিন ধরেই কুনাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে ক্রমাগত বলে চলেছেন, তৃণমূলের এক প্রাক্তন নেতা যিনি বর্তমানে বিজেপিতে সক্রিয় নেতাদের ওপর চাপ বাড়াতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাহায্য নিচ্ছে। আর এদিন কুনাল ঘোষ সে দিকেই ইঙ্গিত করলেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত কুনাল ঘোষ সারদাকাণ্ডে দীর্ঘদিন জেল হাজত বাস করেছেন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

একসময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন এই কুণাল ঘোষ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভাঙ্গা সম্পর্ক জোড়া লাগে এবং বর্তমানে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে দলে রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ভোটের মুখে হঠাৎ করে সারদাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তথা তৃণমূল মুখপাত্রকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তলব করা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের এই পদক্ষেপ আগামী দিনে রাজ্যের শাসক দলকে বিপদে ফেলবে না তো!