প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রথমে তিনি রাজনীতিতে আসার ঘোষণা করার পরেই আশার আলো তৈরি হয়েছিল তার অনুগামীদের মধ্যে। তবে মাঝে তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেভাবে তাকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। যার ফলে তার অনুগামীরা প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে শুরু করেন। তবে অবশেষে নিজের অনুগামীদের আশায় জল ঢেলে দিয়ে রাজনীতিতে যে তিনি পা রাখছেন না, তা জানিয়ে দিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। জানা গিয়েছে, সোমবার এই ব্যাপারে বড় ঘোষণা করেন এই হেভিওয়েট। যেখানে নিজের তৈরি করা দল ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন তিনি। আর রজনীকান্ত এতদিন রাজনীতিতে আসার কথা জানালেও এবং নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও, কেন তার এই ধরনের সিদ্ধান্ত, এখন তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, আজ সোমবার এই ব্যাপারে বড় ঘোষণা করেন অভিনেতা রজনীকান্ত। যেখানে প্রথমেই নিজের তৈরি করা দল “রজনী মাক্কাল মন্দরম” ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন তিনি। আর তারপরেই তার রাজনীতিতে আসার যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তা সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দেন এই হেভিওয়েট সুপারস্টার। এদিন তিনি বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারছি না। ভোটে অংশ না নিয়ে আমি সমাজসেবা করব। আমি জানি, এই কথা শুনে আমার ভক্তরা দুঃখ পাবেন। আমাকে ক্ষমা করবেন।” তবে এতদিন রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে নানা মন্তব্য করলেও, হঠাৎ করে কেন তিনি সেখান থেকে পিছিয়ে গেলেন, তা নিয়ে ক্রমশ চর্চা বাড়তে শুরু করেছে।

অনেকে বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনীতির কূটকচালির মধ্যে আর যেতে চাইছেন না রজনীকান্ত। পাশাপাশি তার স্বাস্থ্যের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। তাই রাজনৈতিক এই ওঠাপড়ার মধ্যে আর নিজেকে জড়িয়ে ফেলতে চান না তিনি। সেদিক থেকে বহু আশা থাকলেও, এবার নিজের তৈরি করা দল ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পাশাপাশি রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও জানিয়ে দিলেন এই হেভিওয়েট। সেদিক থেকে সমাজ সেবার মধ্যে দিয়েই তিনি মানুষের সেবা করবেন বলে জানিয়ে দিলেন হেভিওয়েট এই সুপারস্টার। তবে তার এই রাজনীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা যে তার অনুগামীদের মধ্যে যথেষ্ট হতাশা তৈরি করবে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।