প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোন দল রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। তৃণমূল যেমন তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া, ঠিক তেমনই বিজেপি এবার পরিবর্তনের পরিবর্তন চাইছে। সেক্ষেত্রে তাদের টার্গেট, 200 আসন দখল করা। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল থেকে বিজেপি দুই দফার নির্বাচনের পর প্রত্যেকেই দাবি করছে, প্রথম দুই দফায় বেশিরভাগ আসন তারা দখল করেছে।

তবে শেষ হাসি কারা হাসবে, তার আগামী 2 মে ভোটবাক্স খোলার পর পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে এবার বিজেপির পক্ষ থেকে যতই রাজ্যের ক্ষমতা দখলের কথা বলা হোক না কেন, গেরুয়া শিবির কত আসন পেতে চলেছে, দলীয় সভা থেকে তা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, আজ খানাকুল বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বিজেপির পক্ষ থেকে 200 আসন দখলের যে কথা বলা হচ্ছে, তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী বলেন, “ক্ষমতায় আসা তো দূরের কথা। 50 টি আসনও পাবে না বিজেপি। আগে 50 টি আসন পাক, তারপর 294 এর স্বপ্ন দেখবে।”

স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। একাংশ বলছেন, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন, এবারের নির্বাচনে তার পরাজয় নিশ্চিত। তাই এখন থেকেই পরবর্তী দফাগুলিতে যাতে ভালো ফলাফল করা যায়, তার জন্য নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে তিনি বিজেপিকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করতে শুরু করেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনে কারা জয়লাভ করবে, তা ফলাফল প্রকাশের দিনেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু এখন থেকেই যেভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে, তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছে বাংলার জনতা জনার্দন। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে। এক্ষেত্রে 200 আসনের টার্গেট নিয়ে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করতে শুরু করেছেন বিজেপির হাইপ্রোফাইল নেতারা। তবে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 50 টি আসনও বিজেপি পাবে না বলে যে দাবি করলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধুমাত্র মুখের কথা বলে কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করার জন্যই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য রাখলেন, নাকি তিনি কার্যত আত্মপ্রত্যয়ী যে, বিজেপিকে বাংলার মানুষ সমর্থন করবেন না! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য কতটা বাস্তব হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।