নোয়াপাড়া উপনির্বাচন: প্রাক্তন বিধায়ককে নিয়ে কি সমস্যা বাড়ছে শাসকদলে? বিশেষ খবর রাজ্য January 3, 2018 ২০১১ সালে রাজ্যে যখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে তখন নোয়াপাড়া থেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন প্রয়াত যুবনেতা বিকাশ বসুর স্ত্রী মঞ্জু বসু। ২০১৬ সালেও জয়ী বিধায়ককে টিকিট দিতে কসুর করেননি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মধুসূদন ঘোষের কাছে খুব অল্প ব্যবধানে হেরে যান মঞ্জুদেবী। রাজ্যজুড়ে প্রবল ঘাসফুল ঝড় উঠলেও কলকাতার অদূরে নোয়াপাড়াতে এসে তা মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক মধুসূদন বাবু, আর তাই সেখানে উপনির্বাচন আসন্ন। কিন্তু এবার আর প্রার্থী হওয়া হয় নি মঞ্জুদেবীর, উল্টে টিকিট পেয়েছেন দলের তরফে ভোটের দায়িত্ত্ব পাওয়া ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় সুনীল সিং। ফলে রাজনৈতিক গুঞ্জন ছিলই যে এই টিকিট না পাওয়ার ব্যাপারটা কিভাবে নেবেন মঞ্জুদেবী। সূত্রের খবর, নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করতে গত সোমবার শাসকদলের নেতারা দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ, বিধায়ক অর্জুন সিং, পার্থ ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন উত্তর ব্যারাকপুর, গাড়ুলিয়া পুরসভা, মোহনপুর, শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নেতারাও। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে অনুপস্থিত থাকেন মঞ্জুদেবী। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে এ প্রসঙ্গে জেলা নেতৃত্বের দাবি, মঞ্জু বসুকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যদিও মঞ্জুদেবী নাকি নিজে জানিয়েছেন যে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই তিনি সেখানে যাননি। যদিও এই প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই বিধানসভা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই, বুধবার প্রথম কর্মিসভা করা হবে। পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায় নেতৃত্বদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আর মঞ্জু বসু গোটা বিধানসভার চেয়ারপার্সন, তিনিও সব সময় আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। মঞ্জু বসু ব্যস্ত থাকায় তিনি আসেননি, তাঁর সঙ্গে কথাও হয়েছে, বুধবারের সভায় তিনি থাকবেন। যদিও জ্যোতিপ্রিয়বাবুর এহেন বক্তব্যের পরেও রাজনৈতিক গুঞ্জন থামছে না বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -