প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন এবং বিধিনিষেধের জন্য অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সমস্যার মুখে পড়ে গিয়েছে। চ্যালেঞ্জ সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার। কিভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, তার জন্য প্রতিমুহূর্তে চেষ্টা করছেন সকলে। আর এই পরিস্থিতিতে 100 দিনের কাজ নিয়ে বড় আবেদন করতে দেখা গেল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তথা বঙ্গসন্তান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

যেখানে একশো দিনের কাজ বাড়িয়ে দেড়শো দিন করার পক্ষে মত দিতে দেখা গেল তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই এবার কি 100 দিনের কাজ বাড়িয়ে দেড়শো দিন করা হবে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মন্তব্যের পরে বাড়তে শুরু করেছে জল্পনা। মূলত, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের অর্থনৈতিক বিষয়টি সামাল দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিভাবে দিনযাপন করবেন গরীব সাধারন মানুষ, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। আর তার মাঝেই সেই অর্থনৈতিক দুরবস্থা দূর করতে 100 দিনের কাজ বাড়ানোর জন্য অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রস্তাব যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে একটি আবেদন করেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “যদি গরীব মানুষদের জানিয়ে দেওয়া হয় এটাই তাদের শেষ বারের মত সাহায্য করা হচ্ছে, তাহলে তারা সেই অর্থ যতটা সম্ভব বাঁচানোর চেষ্টা করবে। তাই আমি বলছি মনরেগার কথা। কাজ বাড়ানোর কথা, উপার্জন বাড়ানোর কথা। দরিদ্র মানুষের হাতে নগদ টাকা দেওয়া, এই পরিস্থিতিতে জরুরি পদক্ষেপ। সরকারের উচিত মনরেগা প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগ বাড়ানো। একশোর দিনের কাজকে দেড়শো দিন করা উচিত।”

পাশাপাশি অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের আরও বেশি করে কাজে লাগালে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাড় করানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ যখন এই কথা বলছেন, তখন তা কেন্দ্রীয় সরকারের কিছুটা হলেও ভেবে দেখা উচিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ বারবার সাফল্যের সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।

তবে এবার সেই একশো দিনের কাজের দিনক্ষন শুধু মাত্র একশো দিনের গন্ডিতে বেঁধে না রেখে তা যাতে আরও কিছুটা বাড়ানো যায়, তার জন্য আবেদন করলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা প্রথম দফায় করোনা ভাইরাস আসার পর লকডাউন সহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। যার জেরে সাধারন গরিব মানুষ ব্যাপক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন।

কিন্তু এক বছর কাটতে না কাটতেই যখন আবার ভারতবর্ষের অর্থনীতি কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই নতুন করে করোনা ভাইরাসের দাপট শুরু হয়। যার জেরে একাধিক রাজ্য লকডাউন এবং বিধিনিষেধের মত পদক্ষেপ গ্রহণ করেঋ স্বাভাবিক ভাবেই আবার গরিব মানুষদের রুজিরুটি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই সাধারন গরিব মানুষকে বাঁচানোর জন্যই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের কেন্দ্রের কাছে এই প্রস্তাব বলে মনে করা হচ্ছে। এখন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একশো দিনের কাজ বাড়ানোর জন্য বঙ্গসন্তানের এই প্রস্তাব গ্রাহ্য হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।