এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নতুন সভাপতি হলেও কোচবিহারের দ্বন্দ্ব মিটছে না! পার্থ বনাম রবির ঝামেলা প্রকাশ্যে!

নতুন সভাপতি হলেও কোচবিহারের দ্বন্দ্ব মিটছে না! পার্থ বনাম রবির ঝামেলা প্রকাশ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোচবিহারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে পার্থপ্রতিম রায়ের দ্বৈরথের কথা কারোরই অজানা নয়। গত লোকসভা নির্বাচনে এই দ্বৈরথের কারণেই এই কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে বলে দাবি করেন একাংশ। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে পার্থপ্রতিম রায়কে কার্যকরী সভাপতি করা হয়। সভাপতির দায়িত্ব পান বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তবে সম্প্রতি সেই কোচবিহার জেলায় আবার তৃণমূল নেত্রী ব্যাপক রদবদল করেন।

যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের চরম বিরোধী বলে পরিচিত কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে জেলা তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এরপর থেকেই কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরোধী পার্থপ্রতিম রায় সভাপতি হওয়ায় দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। অবশেষে এবার কি সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে?

সূত্রের খবর, রবিবার হরিণচওড়া কোচবিহার 1 ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে নতুন জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় এবং যুব তৃনমূলের সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিককে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় এখন তীব্র গুঞ্জন তৈরি হয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। জানা গেছে, এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন নতুন যুব তৃনমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।

কিন্তু কেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মত হেভিওয়েট নেতা তথা মন্ত্রী সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত হলেন না? তাহলে কি পার্থবাবুর সাথে এখনও তার সমস্যা মেটেনি! ভেতরে ভেতরে কি তাদের দ্বন্দ্ব এখনও রয়েছে! আর তাই নতুন জেলা সভাপতিকে কার্যত মেনে নিতে না পেরে এই অনুষ্ঠানকে এড়িয়ে গেলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিন এই প্রসঙ্গে পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “সবাই আমন্ত্রিত রয়েছেন। সকলেরই এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি রয়েছে। সেগুলো শেষ করে আসবেন। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা দলের অনুগত সৈনিক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “কে কোন কার্ড ছাপাবে, আর তাতে আমার নাম দেবে, তাহলে কি আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়! আমাকে কোনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কোনো আলোচনা করা হয়নি। ফলে ওখানে যাওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই। ওটা আমার বিধানসভা কেন্দ্র। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী নিয়ম করে দিয়েছিলেন। এখনও সেই নিয়ম বলবৎ রয়েছে। যদি কোনো বিধায়কের এলাকায় মিটিং করতে হয়, তাহলে তার অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তারও কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি। করোনা আবহে জমায়েত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন করেন না। কোনো আলোচনা না করে এমন কর্মসূচি বিভ্রান্তিকর।”

অর্থাৎ রবি ঘোষের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে তিনি এই গোটা ঘটনায় খুব একটা খুশি নন। আর এইসব দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোচবিহার জেলায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করানোর জন্য সাংগঠনিক রদবদল করা হলেও, আদতে সমস্যা রয়েই গেছে। আর তাই সংবর্ধনা সভায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অনুপস্থিত থেকে কার্যত বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করে আরও একবার তা প্রমাণ করে দিলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

তবে জেলায় যদি এভাবেই নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব চলতে থাকে, তাহলে কিভাবে আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির মোকাবিলা করবে তৃণমূল কংগ্রেস, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!