এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নয়াকৃষি আইন বিষয়ে বিশেষ ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের

নয়াকৃষি আইন বিষয়ে বিশেষ ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রীয় সরকার প্রণীত নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের আন্দোলন চলছে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে। নয়া কৃষি আইন সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, কোন অবস্থাতেই নয়া কৃষি আইন বাতিল করা যাবে না। তবে কৃষকদের কথা চিন্তা করেই, এই আইনে এবার সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তিনি জানালেন যে, কৃষকদের কথা চিন্তা করেই নয়া কৃষি আইনে সংশোধনী আনতে প্রস্তুত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সম্প্রতি, এগ্রিভিশন পঞ্চম ন্যাশনাল কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তিনি জানালেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষকদের ১১ দফা বৈঠক হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কৃষি আইনের সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানালেন, কৃষক ও কৃষির উন্নতির উদ্দেশ্যেই এই আইন এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনের মাধ্যমে কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছামত কাউকে যেমন ফসল বিক্রি করতে পারবেন, তেমনি নিজেদের ইচ্ছামত দামেও ফসল বিক্রি করতে পারবেন। কেউ কৃষকদের বাধা দিতে পারবে না। এর ফলে কৃষকদের হাতে অধিক পরিমাণে অর্থ আসবে। যার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কৃষিক্ষেত্রে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে অযথা রাজনীতি করার অভিযোগ করলেন তিনি বিরোধীদের প্রতি। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, গণতন্ত্রে বিরোধিতার স্থান অবশ্যই আছে। কেউ যদি ভিন্নমত পোষণ করেন, তবে তিনি বিরোধিতা করতেই পারেন। কিন্তু, এটাও দেখতে হবে যে, তাদের বিরোধিতার ফলে দেশের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। এই আন্দোলনের ফলে তাদের কি লাভ হচ্ছে? সে বিষয়ে কেউ কিছুই বলতে পারছেন না।

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী জানালেন, গণতন্ত্রে সকলেরই ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু নতুন প্রজন্মকে ভাবা দরকার যে, কৃষকদের ক্ষতি করে, কিংবা কৃষি অর্থনীতির ক্ষতি করে যেন কোনো রাজনীতি না করা হয়। তিনি জানালেন, কৃষক সংগঠন ও বিরোধীরা এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেননি যে, এই আইনে কি কি ভুল ত্রুটি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের উন্নতির জন্য সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতেও একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কৃষকদের কথা চিন্তা করেই আইনের সংশোধনীতে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কৃষকদের এই আন্দোলনের ফলে কার? কতটা লাভ হয়েছে? এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী জানালেন যে, গণতন্ত্রে কেউ বিরোধিতা করতেই পারেন, কিন্তু তাতে যেন দেশের কোনো ক্ষতি না হয়, তাও দেখা প্রয়োজন। তিনি জানান, কোনো সমস্যার সমাধান করতে গেলে দু’পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হয়। তিনি জানালেন, কেন্দ্রীয় সরকারের মতো কৃষকদেরও সমস্যার সমাধানের জন্য এগিয়ে আসা প্রয়োজন, না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশের অর্থনীতি। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন দীর্ঘ সময় অতিক্রম করেছে। বিক্ষুব্ধ কৃষকরা কৃষি আইন বাতিলের জন্য আগামী ২ রা অক্টোবর এর চরম সীমা বেঁধে দিয়েছেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!