এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের তীব্র প্রচারের পাল্টা দিতে বিজেপি নেতাদের প্রশিক্ষনে আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারা

এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের তীব্র প্রচারের পাল্টা দিতে বিজেপি নেতাদের প্রশিক্ষনে আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারা


 

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থান ছিল চোখে পড়ার মত। 2 থেকে 18 টি আসন দখল করে বিজেপি কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গে 7 টি আসন দখল করে তৃণমূলকে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে লোকসভায় বিজেপির উত্থান ঘটলেও, যত দিন যাচ্ছে ততই যেন বিজেপি প্রভাব কমতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এমনটাই দাবি করতে শুরু করেছেন।

অনেকে বলছেন, অসমে এনআরসির পর বাংলাতেও এনআরসি হবে বলে বিজেপি নেতারা গর্জে উঠেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি বাঙালি খেদাও অভিযানে নেমেছে বলে পাল্টা সেই এনআরসির বিরুদ্ধে সরব হয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলা ও বাঙালির ভাবাবেগ তৃণমূলের উস্কে দিতে শুরু করেছে। তাই এনআরসি বিজেপিকে প্রবল চাপে ফেলছে সেই ব্যাপারটি বুঝে গিয়েছেন বিজেপি নেতারাও। যার জেরে এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের দাবি যাতে তাদের বিপক্ষে না যেতে পারে, তার জন্য এবার কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ নিতে শুরু করল বঙ্গ বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, বর্তমানে মালদহে বিজেপির বিরুদ্ধে এনআরসি ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল ফায়দা লুটতে তৎপর হয়ে উঠেছে। যার ফলে সেখানে বিজেপির সমর্থন দিনকে দিন কমছে বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে তৃণমূল থেকে কংগ্রেস, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরা এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে থাকলেও এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি গেরুয়া শিবিরকে। তবে এবার এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শুরু করল বিজেপি।

সূত্রের খবর, নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই মালদহ জেলা জুড়ে এনআরসি সমর্থনে প্রচারে নামবে গেরুয়া শিবির। যে প্রচারের রূপরেখা তৈরি করবার জন্য মালদহে রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা আসতে পারেন বলে খবর। আর বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শের ভিত্তিতেই মালদহে এনআরসির স্বপক্ষে প্রচার গড়ে তোলা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল বলেন, “এনআরসি হোক বা জাতীয় নাগরিকত্ব বিল, বিজেপির অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। আমরা মনে করি দেশের প্রতিটি নাগরিকের মাথা উঁচু করে যেমন বাঁচার অধিকার রয়েছে, তেমনই অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশ থেকে বিতাড়নেরও প্রয়োজন রয়েছে। দিনের পর দিন বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে ভারতে ঢুকে এদেশের নাগরিকদের প্রাপ্য অধিকারে বিদেশীরা ভাগ বসাবে, এটা চলতে পারে না। আমাদের নেতৃত্বরা জানিয়ে দিয়েছেন যে সব হিন্দুরা বাধ্য হয়ে ভারতে এসেছেন, তাদের আমরা আশ্রয় দেব। অনেকে জানতে চাইছেন, আমরা কেন এনআরসি ইস্যুতে রাস্তায় নামিনি। আসলে আমরা বিভ্রান্তি চাই না। আমাদের কিছু কর্মসূচি ছিল, তা শেষ হয়েছে। যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে আমরা এনআরসি সম্পর্কিত একটি কর্মশালা করব।”

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এনআরসির স্বপক্ষে লড়াই করার কথা বলা হলেও তা নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, “ভিটেছাড়া হওয়ার যন্ত্রণা অনেকেই জানেন। বিজেপি আরও একবার এনআরসির নামে মানুষকে সুপরিকল্পিত কায়দায় দেশছাড়া করার ব্যবস্থা করতে চাইছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে মানুষকে সেই কথা বলছি।”

একইভাবে বিজেপিকে কটাক্ষ করে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৌসম বেনজির নূর বলেন, “বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে না। তৃণমূল কর্মীরা এনআরসি রুখবেই। আমরা গ্রামে গিয়ে সেই বার্তা মানুষকে দিচ্ছি।” আর তৃণমূল থেকে কংগ্রেস – এনআরসির বিরুদ্ধে প্রচার করায় বিজেপি কিছুটা চাপে পরেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আর তাইতো এবার নিজেদের চাপ কমাতে এনআরসির স্বপক্ষে মানুষের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। তবে বিজেপি এই কর্মসূচি নিলেও তাতে কতটা সাফল্য আসে, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!