প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা নবীকে নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। আর তার প্রভাব পড়ে গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। আর তারপরেই নূপুর শর্মার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে বাংলার প্রশাসন। তবে এর কিছুদিনের মাথায় বাংলার তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র মা কালীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।

স্বভাবতই এবার তৃণমূলকে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। যেখানে বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নূপুর শর্মার প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাহলে কেন মহুয়া মৈত্রকে ছাড় দেওয়া হবে, তার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান! ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সূত্রের খবর, এদিন এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নুপুর শর্মার ব্যাপারে যতটা সক্রিয়, এখানেও তেমন সক্রিয় হওয়া উচিত। আমরা অপেক্ষা করছি। তারপর আদালতের দরজা খোলা আছে। কিন্তু চার, পাঁচ দিন দেখতে হবে, পুলিশ কি করছে! এর জন্য যেমন প্রতিবাদের আওয়াজ তোলা দরকার, তেমন চাপ দেওয়া দরকার।”

অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন, কারও প্রতি গরম এবং কারও প্রতি নরম হওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে সকলের প্রতি এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য যে এখন যথেষ্ট গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে নবান্নের কাছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।