এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অন্যদের ক্ষেত্রে কড়া হলেও, সোনালীর ক্ষেত্রে কি নরম মমতা! গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডাক পাওয়া নিয়ে জল্পনা!

অন্যদের ক্ষেত্রে কড়া হলেও, সোনালীর ক্ষেত্রে কি নরম মমতা! গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডাক পাওয়া নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তিনি শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সঙ্গী নন, ছায়াসঙ্গী এবং তার পরিবারের অন্যতম সদস্যও বলা চলে তাকে। দীর্ঘ লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বারবার তার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। বাড়ির কালীপুজো হোক বা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, সব কিছুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকতে দেখা গেছে সোনালী গুহকে। কিন্তু সেই সোনালী গুহ সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে টিকিট না পেয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গ ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।

তবে বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল আবার তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখে দলে নেওয়ার আবেদন করেন সোনালী গুহ। যেখানে একটি তাৎপর্যপূর্ণ উক্তি করেন তৃণমূলের এই প্রাক্তন নেত্রী। তিনি বলেন, “মাছ ছাড়া যেমন বাঁচতে পারে না, তেমনই তিনিও দিদিকে ছাড়া বাঁচতে পারবেন না।” তবে এরপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাংশ দাবি করেন, কোথায় ছিলেন? যখন নির্বাচনের আগে বিপদে পড়ে দলকে প্রতিমুহূর্তে বিজেপি সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল, তখন এই সোনালী গুহদের মত নেতা-নেত্রীরা সুবিধাবাদী হয়ে দলকে বিপদে ফেলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

তাই তাদেরকে কোনোভাবেই দলে নেওয়া উচিত নয়। এদিকে সোনালী গুহর পথে হেঁটেই একের পর এক বিজেপিতে যাওয়া নেতা-নেত্রীরা আবার তৃণমূলের ফিরতে চেয়ে আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ছয় মাস দলবদলকারীদের গ্রহণ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে যায় তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটা কড়া হলেও, এবার কি সোনালী গুহর ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত নরম করেই নিচ্ছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী?

সূত্রের খবর, শনিবার কালীঘাটে নিজের বাসভবনে দীর্ঘদিনের সঙ্গী সোনালী গুহকে ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই আশার আলো তৈরি হয়। তাহলে কি সোনালী গুহকে আবার দলে গ্রহণ করবেন তৃণমূল নেত্রী? কিন্তু কিছুদিন আগেই তো তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আগামী ছয় মাস এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এই উদ্যোগ নিলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাসভবনে সোনালী গুহকে ডাকার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সোনালীদেবীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে্ কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেজোভাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই সেই ব্যাপারে সোনালীদেবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে উপস্থিত হবেন, আর তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তার দলে ফিরতে চেয়ে কোনোরকম কথা হবে না, এই বিষয়টি মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। কেননা দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে তাদের দুজনের মধ্যে। সেদিক থেকে সোনালী গুহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন থেকে আসার পর তাকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যজুড়ে।

একাংশ বলছেন, জুন মাসের আগামী 5 তারিখে তৃনমূল শীর্ষ নেতৃত্ব একটি বৈঠকে বসবে। যেখানে ব্যাপক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আর সেই বৈঠকেই যারা বর্তমানে তৃণমূলের আসতে চাইছেন, তাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আর এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য নেতা নেত্রীদের ক্ষেত্রে কি হবে, তা বলা না গেলেও সোনালী গুহর ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবেন, তা বলাই যায়। শনিবার সোনালী গুহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে যাওয়ার পর তার তৃণমূলের ফিরতে চাওয়ার আবেদন যে খুব তাড়াতাড়ি গ্রাহ্য হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!