এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদীর পা না ধরার আর্জি, মমতার প্রেস্টিজ রক্ষায় শুভেন্দুর মাস্টারস্ট্রোক!

মোদীর পা না ধরার আর্জি, মমতার প্রেস্টিজ রক্ষায় শুভেন্দুর মাস্টারস্ট্রোক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সঙ্ঘাত চরমে পৌঁছেছে। দুর্যোগ-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ থেকে সেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। যেখানে কলাইকুন্ডাতে বৈঠকের কথা থাকলেও, অন্যান্য জেলা সফর করার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে একাংশ।

পরবর্তীতে রাজ্যকে চাপে ফেলে দিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করে কেন্দ্রীয় সরকার। যা বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ বলে ক্ষোভ উগরে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলির জন্য যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার আবেদন জানান তিনি। পাশাপাশি বাংলার মানুষের স্বার্থে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতেও রাজি বলে জানিয়ে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নরেন্দ্র মোদীর পা না ধরার আবেদন জানালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বস্তুত, মুখ্যসচিবকে বদলি করার নোটিশের পরেই শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “বাংলার প্রতি এই আচরণ কোনোমতেই বরদাস্ত করা হবে না।” পাশাপাশি মুখ্যসচিবকে বদলি করার যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। আর তারপরেই প্রয়োজনে তিনি বাংলার মানুষের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর পা দুটো ধরতেও রাজি বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাংবাদিক বৈঠকের পরই পাল্টা ভার্চুয়ালি সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে অত্যাচার চলছে‌। লকডাউনের মধ্যেও ছাড় নেই। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক থেকে অসত্য কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আমরা এই পরিস্থিতিতে সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর পা আপনাকে ধরতে হবে না। আপনি বরঞ্চ প্রধানমন্ত্রীকে প্রাপ্য সম্মান দিন আইএএস, আইপিএসদের প্রটোকল ভাঙতে আপনি বাধ্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘরে ঢুকলে আমরা সবাই উঠে দাঁড়াই। এরপর প্রধানমন্ত্রীর হাতে রিপোর্ট তুলে দিয়ে তিনি মুখ্যসচিবকে নিয়ে বেরিয়ে যান। বাংলা সহ বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করেছেন। বাংলার ঐতিহ্য পরম্পরাকে ভেঙেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচারণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন, তখন তার পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে চাপে ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলা ও বাঙালি সব সময় বিজেপির পক্ষ থেকে অপমানিত হয় বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটবাক্সেও এর প্রতিফলন হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার জেরে তৃণমূল আবারও বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাত যখন মুখ্যসচিবকে নিয়ে সামনে এসেছে, তখন প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পা ধরতেও রাজি বলে প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যসচিবের বদলি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেগতাড়িত বক্তব্যকে সম্পূর্ণরূপে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রটোকল অনুযায়ী সম্মান দেওয়া উচিত বলে পাল্টা যুক্তি সামনে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিজেপিকে চাপে রাখার চেষ্টা করলেও, বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে সম্মান দেওয়ার কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!