এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে নতুন করে কি বলছে WHO? কবে আসছে করোনার প্রতিষেধক?

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে নতুন করে কি বলছে WHO? কবে আসছে করোনার প্রতিষেধক?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা ভ্যাকসিনের আশায় সমগ্র বিশ্ব এখন চতকপাখি। তবে সেই আশায় আলোর মত জেগে ছিল অক্সফোর্ডের কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল। কারণ এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়েই আশাবাদী ছিল বিশ্ব। যেহেতু প্রথম দুটি পর্যায়ের ট্রায়াল ভালো মত মিটেছে, তাই আশা ছিল এটাই হয়ত হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম হু স্বীকৃত করোনা ভ্যাকসিন। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলেছে কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হওয়া এক বিস্ফোরক তথ্য।

কিছুদিন আগে অ্যাস্ট্রোজেনেকার তরফ থেকে জানানো হয় যে, যাদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছিল তাদের মধ্যে, অপ্রত্যাশিতভাবে একজন ভলান্টিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের টিকার ট্রায়াল তাই সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সমস্যাটা ঠিক কোথায় হচ্ছে, সেটা জানতে গিয়ে জানা যায়, এই টিকা নেওয়ার পর একজন স্বেচ্ছাসেবক অতিরিক্ত জ্বরে কাবু হয়ে পড়েছেন। আর সেজন্যই নিয়ম অনুযায়ী এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল এই মুহূর্তে পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। আর এই খবর আসার পরই হতাশায় ডুবে যায় বিশ্ববাসী।

 

শুধু আমেরিকাতেই প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই ভ্যাকসিনটি দেওয়ার কথা থাকলেও, সেই সময় জানা যায় এটা ট্রায়ালের একটি রুটিন প্রক্রিয়া। যে কোনো ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই এটা কার্যকরী হয়। তাই কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে যদি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তবে ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়াটাই নিয়ম। এরপর সংস্থার রিভিউ কমিটি পুনরায় ভ্যাকসিনটির ক্ষতিকর প্রভাব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন তারা। সেই রিভিউ এর পর ছাড়পত্র পেলেই তারা আবার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের কাজ শুরু করতে পারবে বলেই তখন জানা যায়।

তবে এর মধ্যেও তারা ভালো কিছুর ইঙ্গিত খুঁজে পেয়েছেন। তাঁদের কথায়, অনেক সময় দুর্ঘটনাবশত এই ধরনের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তাই আপাতত ট্রায়ালের কাজ বন্ধ রাখতে হবে। তাই এটাকে একটা সতর্কবার্তা বলেই মনে করছেন তারা। তবে তাঁদের মতে এটা আমাদের বোঝা দরকার যে যেকোনো রকম ওষুধের আবিষ্কারের প্রক্রিয়ায় বাধা বিপত্তি আসাটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই ভেঙে পড়ে, হাল না ছেড়ে দিয়ে উচিত ভুল টা খুঁজে বার করে নতুন করে শুরু করা। সেই সঙ্গে আবারও ব্যর্থ হলে নতুন উদ্যমে আবার কাজ শুরু করার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে তাঁদের মতে আমাদের প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে এই বিশ্বব্যাপী রোগের বিরুদ্ধে লড়াইটা কখনোই যেন এক সংস্থার বিরুদ্ধে আরেক সংস্থার লড়াই না হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে কিন্তু ক্ষতি হবে সমগ্র মানব জাতিরই। তাই সকলের কাছে সুস্থ পৃথিবী গড়াই হোক একমাত্র অঙ্গীকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!